- এই মুহূর্তে দে । শ
- আগস্ট ১৮, ২০২৩
আবারও অশান্ত মণিপুর, সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত কুকি সম্প্রদায়ের ৩
শুক্রবার সকালে মণিপুরের উখরুল জেলার কুকি সম্প্রদায়ের তিন সদস্যকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে এদিন ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ। কুকি আদিবাসী অধ্যুষিত একটি গ্রাম থুয়াই কুকিতে এই ঘটনা ঘটেছে। এই গ্রামটি উখরুল জেলার সদর দফতর উখরুল শহর থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, নাগা উপজাতি তাংখুলদের অধ্যুষিত।
উখরুল জেলার পুলিশ সুপার এন ভাসুম, জানান, “আমাদের তথ্য অনুযায়ী, সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের একটি দল গ্রামের পূর্ব দিকে অবস্থিত পাহাড় থেকে গ্রামের কাছে এসে গ্রামরক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আর কোনও সংঘর্ষের বা নিহতের খবর নেই।”
এই ঘটনার পর, এসপি উখরুল জেলার মানুষদের আস্বস্ত করে বলেছেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে রাজ্য পুলিশ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান চলছে।”
গত ৫ আগস্ট বিষ্ণুপুর ও চুরাচাঁদপুর জেলায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে গোলাগুলির আলাদা ঘটনায় তিন মেইতি এবং দুই কুকি সম্প্রদায়ের মোট পাঁচজন নিহত হয়।
মণিপুরে প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয় চলতি বছরের ৩ মে চুরাচাঁদপুর শহরে, যখন মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতি বা এসটি মর্যাদা প্রদান করার আদালতের নির্দেশের ফলে কুকি গোষ্ঠীগুলি রাজ্যের সংরক্ষণ ব্যবস্থায় এই প্রস্তাবিত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দেয়।
এর পরই সহিংসতা দ্রুত রাজ্যকে গ্রাস করে। যেখানে জাতিগত সংঘাতের ফলে প্রাণহানি, অগ্নিসংযোগ, মহিলাদের শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে। জাতিগত হিংসার এই ছিদ্র দিয়ে সংঘাত গভীর আকার নিতে শুরু করে। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়, যারা বাড়িঘর, সম্পত্তি ছেড়ে জঙ্গলে পালতে শুরু করে। মণিপুর রাজ্যের প্রায় সর্বত্র ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হতে শুরু করে। সরকারি খবর অনুযায়ী এ পর্যন্ত সংঘর্ষে ১৬০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে এবং প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় ৫৩% মেইতেই এবং ১৬% কুকিরা রয়েছে।
❤ Support Us