- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ১, ২০২৪
বছর শুরুর দিনই জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা জাপানে
মোটেই সুখকর হল না জাপানের নববর্ষ। ভয়ংকর ভূমিকম্প দিয়ে জাপানের ২০২৪ সাল শুরু হল। ১ জানুয়ারি, সোমবার সকালে জাপান কেঁপে উঠল বিধ্বংসী ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৬। এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরই সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছে জাপানে।
জাপানের পশ্চিম প্রান্তে সোমবার সকালে প্রবল কম্পনটি অনুভূত হয়েছে। গোটা উত্তর পশ্চিম অঞ্চল জুড়েই সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জাপানের সৈকত শহরগুলিতে পাঁচ মিটার উচ্চতার ঢেউ উঠতে শুরু করে দিয়েছে। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জাপানের বাসিন্দাদের মধ্যে। বহুতল আবাসনগুলিতে থেকে আতঙ্কিত মানুষরা রাস্তায় নেমে এসেছেন।
জাপানের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানান হয়েছে, জোরাল এই কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী শহর টোকিওতেও। কান্টো এলাকাতেও প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। একাধিক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও সরকারিভাবে এখনও আহত বা মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
জাপানের আবহাওয়া বিভাগের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, পশ্চিম প্রান্তের সমুদ্র উপকূলবর্তী শহরগুলিতে সুনামি আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইশিকাওয়া, নিগাতা এবং তোয়ামাতে সুনামিট সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সুনামি সতর্কতা জারি হতেই জাপানের কেন্দ্রীয় সচিব হায়াশি দেশের মানুষকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ইশিকাওয়াতে জাপানের শিখা নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়েছে নিউক্লিয়ার রেগুলেশন অথরিটি। ইতিমধ্যেই একাধিক বড় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করেছে প্রশাসন। ওয়াজিমা, ইশিকাওয়া শহরে রাস্তার বহু অংশ ধসে গিয়েছে। ভূমিকম্পের এপিসেন্টার থেকে তিনশো কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হকুরিকু ইলেকট্রিক পাওয়া কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জাপানের প্রায় ৩৬ হাজারেরও বেশি বাড়িতে কোনও বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারের কারণে টেকটনিক প্লেটে বারবার ঘর্ষণ হয়। আর সেই কারণেই জাপানে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়। ২০১১ সালের ১১ মার্চ রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রা একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় জাপানে। উত্তর পূর্ব সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল সেই সময়কার জোরাল ভূমিকম্পে। জাপানের হংসু দ্বীপ কার্যত মানচিত্র থেকে মুছে গিয়েছিল। দেশের ইতিহাসে সেটাই ছিল সবচেয়ে বিধ্বংসী এবং ভয়াবহ ভূমিকম্প। তারপরই একের পর এক সুনামি আছড়ে পড়ে জাপানে।সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষের। ফুকুশিমা দাইচি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।
❤ Support Us