Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জানুয়ারি ২, ২০২৪

জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশ : লড়াই মূলত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের। নির্বাচনে নেই ৭৮ প্রভাবশালী এমপি, সম্ভবত ক্ষমতায় ফিরছেন হাসিনা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশ : লড়াই মূলত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের। নির্বাচনে নেই ৭৮ প্রভাবশালী এমপি, সম্ভবত ক্ষমতায় ফিরছেন হাসিনা

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে যাদের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে ভাবা হয়, সেই বিএনপি এবং জামাত ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা এবং স্বচ্ছ্বভাবমূর্তি তুলে ধরে এগোতে হবে।  এই অবস্থায় ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রবল। আওয়ামী লীগকে ভোটে লড়তেই   জিততে হবে, একথা আগেই বলে দিয়েছেন শেখ হাসিন, অত্যন্ত কঠোর ভাষায়। উপমহাদেশে বিরোধী শূন্য রাজনীতি অচল, এ কথা অক্ষরে অক্ষরে বুঝতে পেরেছেন শেখ হাসিনা।

বিএনপি এবং জামাত-এর সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে জোর চর্চা চলছে। বিএনপির একাংশ জামাতকে পছন্দ করেন না। তবু পরিস্থিতির চাপে তাদের কাছাকাছি আসতে হয়। জামাতের সঙ্গে প্রধান বিরোধী শক্তির আঁতাত মেনে নিতে পারে না জনতার বৃহত্তর অংশ। কেননা, জামাত মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে। দ্বিতীয়ত এ পর্যন্ত যে সব ভোট হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, তাদের প্রাপ্ত ভোট ৩ শতাংশের বেশি নয়। প্রধানত ভারত সীমান্ত লাগেয়া অঞ্চলে জামাত কমীরা সক্রিয় এবং সাধারণ জনতার কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা খুবই সীমিত। এই অবস্থায়

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে নির্বাচনে ৫৩ জন প্রভাবশালী এমপি এবার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন না। তাঁদের বক্তব্য, “দলের নির্দেশেই” তাঁরা এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এই ৫৩ এমপির মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৮ জন, জাতীয় পার্টির ৩ জন এবং শরিক দলের ২ জন রয়েছেন। এঁদের মধ্যে কেউ তিন বারের এমপি। অধিকাংশ এমপি-ই ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। নিবাচনী ফলের এই তথ্যের ভিত্তিতে বকা যায় এসব সাংসদ  জনমানসে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য এবং প্রভাবশালী। এক সময় তাঁরা বাংলাদেশে তাঁদের প্রবল জনপ্রিয়তা থাকলেও পাশাপাশি নানা রকম দুর্নীতি ও  স্বজনপোষণ জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণেই আওয়ামী লীগের ৪৮ জনকে মমোনয়ন দেওয়া হয়নি। তাঁরাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াননি। তাঁদের যুক্তি দলের নির্দেশকেই আমরা মেনে নিয়েছি।

সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ এবার দলের ৭৮ এমপিকে মনোনয়ন দেয়নি। তাঁদের মধ্যে ৭জন নৌকা চিহ্ন পেয়েও সমঝোতার কারণে তা হারিয়েছেন। এসব সাংসদের পরিবার থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে ৬ জন ভোটে লড়ছেন, এরা দলেরই প্রার্থী।   এই হিসাব দেখলে মনোনয়ন না পাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা ৬৫। মূল কথা বিরোধী শূন্য নির্বাচন হলেও উত্তরবঙ্গে আওয়ামী লীগকে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধেও লড়তে হবে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লড়াই অপরিহার্য। ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য শরিকের অন্তত ৩০ প্রার্থী নৌকোর প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। হাওয়া আওয়ামী লীগেরই অনুকূল। ভোটের রাজনীতি থেকে বিএনপি কিংবা জামাত আপাতত নির্মূল হয়ে যাবে, ভবিষ্যতে তাদের অবস্থান কি দাঁড়াবে পরিস্কার নয়। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সম্ভবত টানা ২০ বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে হবে শেখ হাসিনাকেই।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!