Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মার্চ ৭, ২০২৪

নির্বাচনী বন্ড নিয়ে আদালত অবমাননা, এসবিআই–এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি এডিআরের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে আদালত অবমাননা, এসবিআই–এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি এডিআরের

নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক। ‌গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এমনই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। রায়ে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ককে আরও নির্দেশ দিয়েছিল, ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে। সুপ্রীম কোর্টের দেওয়া সময়সীমা অতিক্রান্ত। এখনও নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত কোনও তথ্য আদালতে জমা দেয়নি দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) স্টেট ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার জন্য পদক্ষেপ গ্রহনের আবেদন জানিয়েছে।
আদালত ৬ মার্চ নির্বাচনী বন্ড সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। আদালতের দেওয়া সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই ৪ মার্চ এসবিআই–এর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। এসবিআই–এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গোটা প্রক্রিয়া খুবই জটিল, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য ‘‌ডিকোড’‌ করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ব্যাঙ্কের আবেদন মেনে নিয়ে আদালত নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়। সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়ায় লোকসভা নির্বাচনের পরে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসবে। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মোট ২২ হাজার ২১৭টি নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করা হয়েছে।
এসবিআই–এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনে এডিআর দাবি করেছে, ডিভিশন বেঞ্চের প্রদত্ত রায় ইচ্ছাকৃত ভাবে অমান্য করেছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দাতার বিবরণ এবং অনুদানের পরিমাণ যাতে জনসাধারণের কাছে প্রকাশ না করা হয় তা নিশ্চিত করার জন্য শেষ মুহুর্তে ইচ্ছাকৃতভাবে আবেদনটি দাখিল করেছে এসবিআই। এমনই দাবি করেছে এডিআর। তারা আরও বলেছে যে, ব্যাঙ্কের কাছে প্রতিটি নির্বাচনী বন্ডের জন্য বরাদ্দকৃত ইউনিক নম্বরের রেকর্ড এবং ক্রেতার KYC বিবরণ রয়েছে।
২০১৮ সালে গোটা দেশে নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়। তার পর থেকে কোনও বাধা ছাড়াই বন্ড বিক্রি করা হচ্ছিল। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক দলগুলির অবৈধ এবং বিদেশ থেকে এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে এবং এতে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। এই আবহে আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছিল, নির্বাচনে কালো টাকা রুখতেই নির্বাচনী বন্ডের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!