- এই মুহূর্তে দে । শ
- মার্চ ১৯, ২০২৫
যাদবপুরের ঘটনায় গ্রেফতার আরো এক ছাত্র, পুলিশি ‘হেনস্তার’ বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবার হুমকি পড়ুয়াদের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনায়, মঙ্গলবার আরো এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ। যাদবপুরকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৩ ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সহপাঠীর গ্রেপ্তারিতে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। পুলিশি ‘হেনস্তার’ বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবার হুমকি পড়ুয়াদের।
গত ১ মার্চ যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির ঘটনায়, মঙ্গলবার আরো এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এদিন সন্ধ্যায় ১০ জন পড়ুয়াকে যাদবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। মিছিল করে হাজিরা দিতে যায় ছাত্ররা। তাঁদের মধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌপ্তিক চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে যাদবপুর থানা। অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন ‘শিক্ষাবন্ধু’ অফিসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে। সহপাঠীর গ্রেপ্তারির খবর পেতেই পর, নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। থানার সামনেও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থী ছাত্রদের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে। সেই দিনই ক্যাম্পাসে ‘শিক্ষাবন্ধু’ অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনা সম্পর্কিত অভিযুক্তদের মধ্যে সৌপ্তিক চন্দ্রের নাম উঠে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্তরা আইন অনুযায়ী পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। তবে অন্যান্য প্রতিবাদী পড়ুয়ারা থানার বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ বিক্ষোভ চলতে থাকে। পড়ুয়ারা বলেন, তারা আইন মেনে চলতে চান আর পুলিশের সাথে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা জানান, যাঁদের তলব করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই কলকাতায় না থাকলেও, যাদবপুরের প্রাক্তনী। বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা অভিযোগ করেন, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। কেবল ছাত্রদের হেনস্তা করা হচ্ছে কিন্তু, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যিনি এক ছাত্রকে গাড়ি চাপা দিলেন, অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র সহ তৃণমূল পন্থী শিক্ষক-কর্মচারীরা ছাত্রদের মারধোর করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এরপর আটক ছাত্রদের মুক্তি দাবিতে স্লোগানিং করেন তাঁরা। এর আগে, সাহিল আলি নামে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল যদিও পরে জামিনে মুক্তি পান। উজান নামে আরো এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়ছিল, তিনিও জামিন পেয়েছেন। আন্দোলনকারী ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছিল, যাতে ছাত্রদের বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়। সে বিষয়ে অরবিন্দ ভবন আশ্বাস দিলেও, ছাত্র গ্রেপ্তারি জারি রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ প্রথমে বলেছিল, পড়ুয়াদের শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, কিন্তু পরে জানা যায় যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশ এই গ্রেপ্তারির যৌক্তিকতা নিয়ে কোনো পরিষ্কার উত্তর দেয়নি।
পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাহিল আলি নামে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কিন্তু পরে তিনি জামিন পান। এরপর, ১২ মার্চ সৌণ্যদীপ ওরফে উজান নামের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়, কিন্তু আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে আবারো তাঁকে গ্রেপ্তার করতে আবেদন করা হয়, যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে ‘আজ়াদ কাশ্মীর’ পোস্টার লাগানোর অভিযোগে নতুন মামলা দায়ের হয়েছে।’ যাদপুরের ঘটনায় যারা দায়ী তাঁদের কাউকেও রেহাই দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ভার্মা।
❤ Support Us