- এই মুহূর্তে দে । শ
- মার্চ ১৩, ২০২৫
জেলায় জেলায় মাটি ও বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ

রাজ্যে ফের পুলিশ-প্রশাসনের ওপর হামলার ঘটনা সামনে এল। বাঁকুড়ার সোনামুখী ও মুর্শিদাবাদের রানিতলায় পুলিশের ওপর দুষ্কৃতীদের আক্রমণে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, বাঁকুড়ায় দীর্ঘদিন ধরে দামোদর থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছিল। পুলিশ সে নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, বালি মাফিরারা পাল্টা পুলিশের উপর চড়াও হয়। পুলিশ ক্যম্পে ঢুকে উর্দিধারীদের মারধোরের পাশাপাশি চলে পুলিশ ক্যম্প ভাঙচুর। হামলায় আক্রান্ত হন ৩ সিভিক ভলেন্টিয়ার কর্মী। অন্যদিকে অবৈধভাবে মাটি তোলায় বাধা দেওয়ায় মুর্শিদাবাদে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়েছে। আহত হয়েছেন ১ পুলিশ আধিকারিক আর একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার।
বাঁকুড়ার সোনামুখীর উত্তরবেশিয়া ক্যাম্পে মঙ্গলবার রাতের এই হামলার ঘটনায় পুলিশের দাবি, প্রায় ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতী ক্যাম্পে ঢুকে পুলিশের উপর হামলা চালায়। শুধু মারধরই নয়, ক্যাম্পে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়, আসবাবপত্রও নষ্ট করা হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস জানান, গত কয়েক মাস ধরে দামোদর নদ থেকে অবৈধভাবে বালি পাচার করা হচ্ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। একাধিক পাচারকারী গ্রেফতার ও ট্রাক্টর আটক করা হয়। এরপরই পুলিশ ক্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের বেশিরভাগই উত্তরবেশিয়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মুর্শিদাবাদের রানিতলার সরলপুরেও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ভৈরব নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। মাটি মাফিয়ারা পাথর ও হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ চালায়। ঘটনার পর, অভিযুক্তরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি জেসিবি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভগবানগোলা ব্লক-২ ভূমি দপ্তর রানিতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তদের বাড়ি ইসলামপুর থানা এলাকায়। আহত সিভিক ভলান্টিয়ারকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। পরপর ২ জেলার ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের সুরক্ষাই যখন বিপন্ন, তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত, সে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
❤ Support Us