- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
ভাষা বিতর্কে আবার উত্তাল বেঙ্গালুরু, কন্নণ ভাষার সমর্থনে বিক্ষোভ

আবার ভাষা নিয়ে উত্তাল বেঙ্গালুরু। কর্ণাটকের রাজধানী শহরে ভাষার পছন্দ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্ককে পুনরুজ্জীবিত করেছে। স্থানীয় ভাষার প্রাধান্য বাড়ানোর জন্য বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে শহর জুড়ে ব্যবসায়ীদের জন্য একটা নির্দেশ জারি করেছে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে নূন্যতম ৬০ শতাংশ সাইনবোর্ড কন্নড় ভাষায় প্রদর্শন করতে হবে। বেঙ্গালুরুর সমস্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৭ ডিসেম্বর সময়সীমা আরোপ করা হয়েছিল। আগামী বছর ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর না করলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকের এই নির্দেশের পর সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর কন্নড়পন্থী গোষ্ঠীগুলি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কন্নড়পন্থীরা স্থানীয় ভাষায় বিলবোর্ডগুলি অবিলম্বে প্রদর্শন করার জন্য দোকানগুলিকে সতর্ক করেছিল। শহরের নাগরিক সংস্থার নোটিশ জারির কয়েক দিন পর কর্ণাটক রক্ষণ বেদিকার সদস্যরা মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন এলাকায় নির্দিষ্ট ইংরেজি সাইনবোর্ডগুলি সরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বেশ কয়েকটা দোকান তাদের ইংরেজি সাইনবোর্ড সরায়নি।
শহরের নাগরিক সংস্থার নির্দেশ না মানায় কন্নড়পন্থীরা বেঙ্গালুরুর সাদাহাল্লি টোল প্লাজার কাছে ইংরেজি সাইনবোর্ডসহ বেশ কয়েকটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে এবং নামের সাইনবোর্ডগুলি বিকৃত করে। এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পুরুষ ও মহিলারা সাদাহাল্লি টোল প্লাজায় একটা পরিচিত হোটেল চেইন ম্যাকডোনাল্ডস থেকে ইংরেজি অক্ষরগুলি ভেঙে ফেলছে। এবং কন্নড় ভাষা ব্যবহারের দাবিতে উচ্চকণ্ঠে স্লোগান দিচ্ছে। বেঙ্গালুরু শহরের বিভিন্ন জায়গাতেও একই রকম ভাঙচুর দেখা গেছে।
ক্ষমতায় আসার পর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া কন্নড় ভাষা ব্যবহারের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। অক্টোবরে তিনি বলেছিলেন, ‘এই রাজ্যে বসবাসকারী প্রত্যেকেরই কন্নড় বলতে শেখা উচিত। আমরা সবাই কন্নড়ী। কর্ণাটকের একীভূত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলা মানুষরা এই কন্নড় ভূমিতে বসতি স্থাপন করেছে।’
দোকান ছাড়াও, শপিং কমপ্লেক্স এবং বেঙ্গালুরু নগর পালিকার অধীনে মলগুলিকে নতুন নিয়ম মেনে চলার জন্য ১৫–২০ দিনের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা কর্ণাটক রক্ষণ বেদিকের সভাপতি টিএ নারায়ণ গৌড়া বলেছেন, প্রতিবাদকারীদের গ্রেপ্তার করা হলে বা আন্দোলন বন্ধ করা হলে বেঙ্গালুরুতে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটবে। তাংর কথায়, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হবে। যদি তারা আমাদের গ্রেপ্তার করে বা আন্দোলন বন্ধ করে, তবে বেঙ্গালুরুতে যে কোনও অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী থাকবে।’
❤ Support Us