- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জুলাই ৪, ২০২৩
বুথে বাহিনী মোতায়েন সমস্যা কাটল না, সমস্যা সমাধানে নোডাল অফিসারকে নির্দেশ হাইকোর্টের
এখনও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সঠিক ভাবে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে কেন্দ্রের কাছে তা পাঠিয়ে উঠতে পারল না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্র ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেও এখনও কেন্দ্র সেই বাহিনী কবে পাঠাবে তা ঠিক হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সঠিক চিত্র সময়মতো কেন্দ্রকে না পাঠানোর জন্যই এই বিলম্ব বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র ।
এদিকে বাহিনী সংক্রান্ত মামলা মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে উঠেছিল। হাইকোর্ট আইজি বিএসএফকে নোডাল অফিসার করে নির্দেশ দেয়, সব বুথে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ অর্ধেক অর্ধেক করে মোতায়েন করা যায় তার ব্যবস্থা করতে। কি অনুপাতে ব্যবহার করলে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ সমান অনুপাতে থাকতে পারে সেটা কমিশনকে এবং নোডাল অফিসারকে খতিয়ে দেখতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট।
৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়ার পর মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, সন্ধ্যায় রাজ্যে পুরো বাহিনী আসবে বলে জানা গেছে। ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে দেরির পিছনেও কমিশনের বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা সঠিক সময় কেন্দ্রকে না পাঠানোই কারণ। এবারও সেই ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে দেরির কারণও সেই কমিশনের বাহিনী মোতায়েনে গাফিলতি। এমন কি মঙ্গলবার আদালতে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনাও আদালতে ভোটের চারদিন আগে জানাতে পারেনি কমিশন। শেষ পর্যন্ত আইজি বিএসএফ, আইজি আর্ম পুলিশকে নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মঙ্গকবার বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বৈঠক করেন।
তবে বিরোধীরা দাবি করছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজ্যের শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই দেরি করে বাহিনী চেয়েছে এবং কেন্দ্র বাহিনী দিতে সম্মত হলে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে পরিকল্পনা সঠিক ভাবে কেন্দ্রকে জানায়নি।
এদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে এখনও দাবি করা হচ্ছে, ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার থেকে দু’জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী না পেলে তারা ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে সোজা বাড়ি চলে যাবেন।
❤ Support Us






