- এই মুহূর্তে দে । শ
- আগস্ট ২৮, ২০২৩
“এগড়া কাণ্ডের পর দত্তপুকুরকাণ্ড, পুলিশ কি ঘুমিয়েছিল?”, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

দত্তপুকুরকাণ্ডে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “এগড়া কাণ্ডের পর দত্তপুকুরকাণ্ড, পুলিশ কি ঘুমিয়েছিল? কেন সরকারের তরফে যে নির্দেশ ছিল তা কার্যকর করা হয়নি? যা যা করার করতে হবে, আমি কিছু শুনতে চাই না।”
এদিন মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুলিশের কে কি করছে, সব কিছু আমার নজরে আছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই দত্তপুকুর থানার আইসি এবং নীলগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “মুযমন্ত্রী সুকৌশলে নিরোধীদের মতো আচরণ করছেন। তিনি নিজের অপদার্থতা ঢাকতে পুলিশের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। দত্তপুকুরের ওই বাজির কারখানা তৃণমূলের নেতারা পেছন থেকে চালান। পুলিশের সাধ্য আছে, তাঁদের ধরে? মুখ্যমন্ত্রী এসব বলছেন কেন? তিনি কি ভুলে গেছেন তিনিই পুলিশমন্ত্রী, তিনি কি এ ভাবে নিজের দায় এড়াতে পারেন?”
এদিন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “তৃণমূল দুর্নীতির হলমার্ক হয়ে গেছে।”
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যে কোনও প্রকারে মাসোহারা পেতেই হবে, তাতে মানুষ মরে মরুক, এটাই তৃণমূল।”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “দত্তপুকুরে যা হল সেটা কেউ একা করতে পারে না। এর পিছনে তৃণমূলের মাথারা সব আছে। এই বিস্ফোরণ নিয়ে আমি আদালতে যাব। মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ অনুপ্রেীণায় এসব হচ্ছে।”
এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তৃণমূলনেত্রী বলেন, “মণিপুর, মিজোরাম, উত্তরপ্রদেশে যখন মানুষ মারা যায় তখন কোথায় থাকে এসব কথা?”
❤ Support Us