- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
“প্লিজ! শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিন”, আদালতের উদ্দেশে আবেদন মমতার
পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যাঁরা মামলা করেছেন তাঁদের প্রতি মমতার শ্লেষ, কিছু লোক আছে, যারা ভোটে জেতে না কিন্তু কোর্টে চলে যায়।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই শূন্যপদে লোক নিয়োগ হলে লক্ষ লক্ষ চাকরি হবে। কিন্তু সরকারের হাত-পা বাঁধা। কিছু লোক মামলা করে আটকে রেখেছে।’’ এই প্রসঙ্গেই মমতা সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপিকে এক বন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘‘কিছু লোক আছে, যারা ভোটে জেতে না কিন্তু কোর্টে চলে যায়।’’
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা এখনও জেলবন্দি। হাজার দিনের বেশি হয়ে গেল চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন। এই পরিস্থিতিতে যখন প্রতিদিন বিরোধীরা রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে, তখন নিয়োগের বিষয়ে আদালতের উদ্দেশে আবেদন জানিয়ে বসলেন তৃণমূলনেত্রী।
বুধবার বর্ধমানের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শিক্ষক নিয়োগে অনেক শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। কিন্তু কোর্টে আটকে রেখেছে।’’ মমতার বার্তা, কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। আদালত সেটা সংশোধন করুক। তাতে তাঁর কিছু বলার নেই। কিন্তু শূন্যপদে নিয়োগ যেন আটকে না থাকে।
বিচারব্যবস্থা বা কোনও কোনও বিচারপতির মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের অনেকেই যখন মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্য সমালোচনা, কটাক্ষ করেছেন এবং করছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় পুরে ভিন্ন সুর ধরা পড়ল বুধবার বর্ধমানের সভায়। মমতা এদিন বলেন, ‘‘আমি কোনও বিচারপতি সম্পর্কে কিছু বলব না। তবে কোনও রায়ের সমালোচনা করতেই পারি। আমি আইন পড়েছি, আমি জানি কী করা যায় বা যায় না।’’
লোকসভা ভোটের আগে চাকরিপ্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারের উদ্দেশেও ‘বার্তা’ দিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে সরকার নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু মামলার জটিলতায় তা আটকে রয়েছে। আর সেই মামলার নেপথ্যে রয়েছে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথায় এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁর সরকার চাইলেও আইনের জটে চাকরি দিতে পারছেন না কারণ বিরোধীরা মামলা করে এই আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে রেখেছে।
❤ Support Us