- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুলাই ৪, ২০২৩
প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ, তবুও নিরুত্তাপ কমিশনার।পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে সরব সেলিম
“পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে একের পর এক রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ঠুটোঁ জগন্নাথ হয়ে বসে আছে। মানুষ যত মার খাচ্ছে তত প্রতিরোধ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে গিয়ে বুঝেছেন তাঁর পাশে নেই তাই তিনি পায়ে ব্যথার নাম করে ঘরে ঢুকে পড়েছেন।” পাশাপাশি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন মহম্মদ সেলিম।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এভাবেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা এবং রাজ্য সরকারের অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
মোহাম্মদ সেলিম স্পষ্ট বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনের একজন অপদার্থ।ব্লুটুথ নিয়ে তিনি কালীঘাটের দিকে তাকিয়ে বসে আছেন। দাবি করছি সবকটি স্পর্শকাতর বুথে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বেড়াতে বসিয়ে রাখলে চলবে না, থানাতেও বসিয়ে রাখা যাবে না। সব স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। আমরা এর আগে দেখেছি, কিভাবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বুথে ঢুকে, পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে নিজেরাই ভোট করে নিচ্ছে।”
“জঙ্গলমহলে মাওবাদী পোস্টার প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম দিন বলেন,”আগে দেখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে কিভাবে পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র লুট করে এগুলো কিষেন জির হাতে দিয়ে সিপিএমকে মেরেছে।”
এদিন মহম্মদ সেলিম রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “যেখানে বিজেপি ঢুকতে পারছে না সেখানে রাজ্যপাল যাচ্ছেন। বাসে পকেটমারের দল ওঠে না, একজন ধরা পড়লে তার দলের অন্য পকেটমার চিৎকার করে বলেন পকেটমার পকেটমার। এটা ঠিক তাই হচ্ছে। প্রশাসনের অংশ। প্রশাসন দুর্নীতি করছে, এই রাজ্যপাল বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিজেপির হয়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গেছেন গ্রামের মানুষ তার দিক থেকে হাত তুলে নিচ্ছে। হাজারে হাজারে মানুষ গ্রামে কংগ্রেস সিপিএম আইএসএফের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে তৃণমূল ছেড়েছে। তাই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যাচ্ছে, “হেরে গেলেও রাজ্যের ক্ষমতায় আমরাই আছি।” তিনি জানেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট হলে তিনি হারবেন।
এদিন আবারো মহম্মদ সেলিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সেটিং এর তথ্য সামনে আনেন। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাব এই দুটো রাজ্যে মুখ্য সচিবের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। পাঞ্জাবের মুখ্য সচিবের মেয়াদ বাড়ানো না, ওখানে আপ-এর সরকার। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম তালবাহানা শুরু করল মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে। নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন। রাজ্যের মুখ্য সচিবের মেয়াদ বেড়ে গেল। মুখ্য সচিবকে নিয়ে তো শুভেন্দু অধিকারী অনেক চিৎকার করেছিলেন। কে পোছে এই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের? মোদি-দিদি সেটিং হয়েই আছে।”
❤ Support Us






