Advertisement
  • দে । শ
  • নভেম্বর ১৮, ২০২২

বাংলার নতুন রাজ্যপাল আনন্দ বোস, কলকাতার সঙ্গে আছে সম্পর্কও

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বাংলার নতুন রাজ্যপাল আনন্দ বোস, কলকাতার সঙ্গে আছে সম্পর্কও

পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন সি ভি আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতিভবন থেকে বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জগদীশ ধনকড়ের পর তিনিই স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জগদীশ ধনকড় রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপর লা গণেশনকে বাংলার অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এবার আনন্দ বোসকে স্থায়ী রাজ্যপাল করা হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি ঘেঁষা এই রাজনীতিবিদকে রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়াটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বর্তমানে মেঘালয়ের রাজ্যপালের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন আনন্দ বোস।
কে এই আনন্দ বোস?‌ পদবিতে বোস থাকলেও আদপে তিনি কেরালার বাসিন্দা, ১৯৭৭–র ব্যাচের আইএএস অফিসার। ১৯৫১ সালের ২ জানুয়ারি কোট্টায়ামে জন্ম গ্রহণ করেন। কেরলের কে ই কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক হন। তারপর কেরল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। পরে বিড়লা ইনস্টিটিউট থেকে পিএইচডি করেন।
বাংলার সঙ্গেও যোগ রয়েছে আনন্দ বোসের। ব্যাঙ্কার হিসেবে কেরিয়ার শুরু হয়েছিল কলকাতায়। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় প্রবিশনারি অফিসার হিসেবে কলকাতায় শ্যামবাজার, চৌরঙ্গী, রাসবিহারী অ্যাভিনিউতে কাজ করেছিলেন। পরে কোল্লাম জেলার কালেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন। কেরালা মুখ্যমন্ত্রীর সচিব, শিক্ষা, বন ও পরিবেশ, শ্রম সহ সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের দায়িত্ব দক্ষতার সাথে সামলে ছিলেন। অটোমিক এনার্জি এডুকেশন সোসাইটির চেয়রাম্যান ছিলেন তিনি। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার এনার্জি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিউশন এনার্জি অর্গানাইজেশনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
আনন্দ বোস প্রশাসনিক জগতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ‘ম্যান অফ আইডিয়াজ়’ বলে ডাকেন। দেশের সকলের জন্য পাকা বাড়ির ভাবনাটিও তিনি মোদিকে দিয়েছিলেন। প্রশাসনিক কাজ সামলানোর পাশাপাশি বইও লেখেন সি ভি আনন্দ বোস। ছোট গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও উপন্যাস সংক্রান্ত ১৭টি বই লিখেছেন তিনি। ইংরাজী ও মালয়ালাম ভাষাতে প্রকাশিত হয়েছে। ৩ বছরের জন্য কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা বক্তার স্বীকৃতি দখলে রেখেছিলেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে মোট ১৭টি পুরস্কার লাভ করেন। জওহরলাল নেহেরু ফেলোশিপ, রাষ্ট্রসংঘ থেকে ‘গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস’, ভারত সরকারের দেওয়া ন্যাশনাল হ্যাবিটেট পুরস্কার সহ আরও অনেক পুরস্কার জিতেছেন আনন্দ বোস।
জগদীপ ধনকড় উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর লা গণেশনকে রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। তাঁকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ ছিল। সম্প্রতি বিজেপির শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীও গণেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। অন্য দিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে গত কয়েকদিনেই সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছিল গণেশনের। কালীপুজোয় তিনি মমতার বাড়িতে গিয়েছিলেন। আবার গণেশনের দাদার জন্মদিনে চেন্নাইতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্যই তাঁকে বেশিদিন দায়িত্বে রাখা হল না।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!