Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪

প্ৰথম স্পেলেই চমক। বাংলার বিধ্বংসী আকাশে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
প্ৰথম স্পেলেই চমক। বাংলার বিধ্বংসী আকাশে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড

ইডেনের ক্লাব হাউসে ঢুকলেই নীচে দেওয়ালে চোখে পড়বে বাংলা থেকে টেস্ট খেলা পঙ্কজ রায় থেকে শুরু করে সৌরভ গাঙ্গুলি, ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ সামি, মুকেশ কুমারদের ছবি। সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও একটা নাম, আকাশ দীপ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রাঁচিতে টেস্ট অভিষেক হল আকাশ দীপের।

শুধু অভিষেকই নয়, একেবারে স্বপ্নের অভিষেক। অভিষেক টেস্টে প্রথম স্পেলে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ভেঙে দিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং মেরুদণ্ড। তাঁর প্রথম তিন শিকার বেন ডাকেট, অলি পোপ ও জ্যাক ক্রলি। এদিন ম্যাচ শুরুর আগে আকাশ দীপের হাতে টেস্ট ক্যাপ তুলে দেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।দেশের ৩১৩ নম্বর টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে আজ তিনি খেলতে নামেন ।  রাঁচির ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে হাজির ছিলেন আকাশ দীপের পরিবারের সদস্যরাও।

যশপ্রীত বুমরাকে আগেই বিশ্রাম দিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ফলে আকাশ দীপের টেস্ট খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। মুকেশ কুমারের বোলিংয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট তেমন সন্তুষ্ট ছিল না। তাই রাঁচিতে আকাশ দীপকে খেলানোর সিদ্ধান্ত। টিম ম্যানেজমেন্টকে হতাশ করেননি আকাশ দীপ। টস জিতে ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে যখন ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছিল, সেই সময়ই আকাশ দীপের আঘাত। দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে তুলে নেন বেন ডাকেটকে (‌১১)‌। ১ বল পরেই ফেরান অলি পোপকে (‌০)‌। এক ওভার পরেই ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জ্যাক ক্রলির (‌৪২)‌ স্টাম্প নড়িয়ে দেন স্বপ্নের ডেলিভারিতে। ১১ বলের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে।

ভারতীয় দলে বাংলা থেকে উঠে আসা আর এক জোরে বোলার মুকেশের মতো আকাশ দীপেরও জন্ম বিহারে। ১৯৯৬ সালে ১৫ ডিসেম্বর বিহারের সাসারামে জন্মগ্রহন করেন। ২০১০ সালে ক্রিকেটের জন্যও সাসারাম থেকে বাংলায় চলে আসেন আকাশ দীপ। দুর্গাপুরে কাকার বাড়িতে থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। কাকা মারা যাওয়ার পর আবার সাসারামে ফিরে যান। পরে আবার কলকাতায় চলে আসেন। সুযোগ পান সিএবির ভিশন ২০২০ শিবিরে। সেখানেই নিজেকে তৈরি করেন আকাশ দীপ।
কলকাতায় আকাশ দীপের থাকার কোনও জায়গা ছিল না। তৎকালীন সিএবি–র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি ইডেনের ডর্মিটরিতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এছাড়া কোচের বাড়িতেও দিনের পর দিন কাটাতে হয়েছে আকাশকে। বাবা এবং দাদার মৃত্যু আকাশের চলার পথ কঠিন করে দিয়েছিল। তবুও হাল ছাড়েননি। ক্লাব ক্রিকেটে ভাল পারফরমেন্স করার সুবাদে বাংলা অনূর্ধ্ব ২৩ দলের ট্রায়ালে ডাক পান। তারপর ধীরে ধীরে রনজি দলেও জায়গা করে নেন। গত কয়েক মরশুম ধরে রনজিতে দুরন্ত পারফরমেন্সই জাতীয় দলে জায়গা খুলে দেয় আকাশ দীপের সামনে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!