- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
ব্রিগেডে বুদ্ধ বার্তা, উদ্যোগী সিপিএমের যুব সংগঠন
২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শেষ ব্রিগেডে এসেছিলেন। তবে তার আগে থেকেই তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য বাড়িতেই আছেন। সেই সভায় পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে এসে মঞ্চের নীচে গাড়িতেই বসেছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। তখন তাঁর নাকে লাগানো ছিল অক্সিজেনের নল। মিনিট ১৫ থেকেই ফের ফিরে গিয়েছিলেন বাড়িতে। তার পরে ২০২১ সালের ভোটের সময়ে বুদ্ধদেবের একটি অডিও বার্তা প্রচার করেছিল সিপিএম। সেখানে প্রাক্তনমুখ্যমন্ত্রীর গলা ছিল ভাঙা। এ বার ৭ জানুয়ারি, ডিওয়াইএফআই-র ব্রিগেড সমাবেশে অডিও বার্তা না হলেও অন্তত একটি সংক্ষিপ্ত লিখিত বার্তা পেতে চাইছে সিপিএমের যুব সংগঠন। কিন্তু বুদ্ধবাবুর শরীর কেন থাকবে, তিনি কথা বলার অবস্থায় থাকবেন কি না, তার উপর অবশ্যই এই সমগ্র বিষয়টি নির্ভর করছে। প্রায় পাঁচ বছর আগে বুদ্ধবাবু ব্রিগেডে এসেছিলেন। এই পাঁচ বছরে তাঁর যেমন শরীর দুর্বল হয়েছে, তেমনই বার তিনেক তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি থাকতে হয় বেশ কয়েক দিনের জন্য। গত অগস্ট মাসেও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল চিকিৎসার জন্য।
২০২৪-এর দ্বিতীয় রবিবার ব্রিগেডে সমাবেশ ডেকেছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। সেই সমাবেশে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সংগঠনের প্রাক্তনী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা পেতে প্রবল ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে বামপন্থী যুবনেতৃত্ব। তবে সবটাই নির্ভর করছে বুদ্ধদেবের স্বাস্থ্যের উপর। কারণ তিনি কতটা কথা বলার অবস্থায় থাকেন তার উপর নির্ভর করবে বার্তার বিষয়টি।
প্রসঙ্গত, ডিওয়াইএফআই সর্বভারতীয় সংগঠন হওয়ার আগে এটা মূলত পশ্চিমবঙ্গ ভিত্তিক সংগঠন ছিল। সেই সংগঠনের নাম ছিল ডিওয়াইএফ। ১৯৬৭ সালে তৈরি সেই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বুদ্ধদেব। সভাপতি ছিলেন দীনেশ মজুমদার। যাঁর নামে সিপিএমের ছাত্র-যুব রাজ্য দফতের নাম।
তবে ডিওয়াইএফআই-র ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের জন্য এখনও পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়ামের তরফে আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেওয়া হয়নি উদ্যোক্তা সংগঠনকে। এর ফলে বক্তাতালিকাও চূড়ান্ত করতে পারেননি সমাবেশের উদ্যোক্তারা।
❤ Support Us