- প্রচ্ছদ রচনা
- ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
ডোরান্ডা পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি, সিবিআই বিশেষ আদালতে লালু প্রসাদ দোষি সাবস্ত্য

ডোরান্ডা পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় আরজেডি প্রধান ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করল সিবিআই বিশেষ আদালত। লালু প্রসাদ যাদব তিন দশকের বেশি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন । কোটি কোটি টাকার খাদ্য কেলেঙ্কারির চারটি মামলায় আগেই তাঁকে ১৪ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে । এবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ১৩৯.৩৫ কোটি টাকার ডোরান্ডা কোষাগার আত্মসাতের মামলায়ও তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল ।
গত মাসে, লালু প্রসাদ যাদব সহ ৯৯ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শুনানি শেষ হয় । মূল অভিযুক্ত ছিল ১৭০জন । ইতিমধ্যে ৫৫ জন মারা গেছেন, সরকারি সাক্ষী ৭ জন, ২ তাঁদের অভিযোগ স্বীকার করেছেন আর ৬ জন পলাতক।
লালু ছাড়াও প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, বিহারের ভূতপূর্ব পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান ধ্রুব ভগত, পশুপালন সচিব বেক জুলিয়াস এবং পশুপালন সহকারী পরিচালক ডঃ কে এম প্রসাদও প্রধান অভিযুক্ত । দুমকা, দেওঘর এবং চাইবাসা কোষাগার আত্মসাৎ-এর মামলায় ইতিপূর্বে জামিন পেয়েছেন তিনি ।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগে সিবিআই ৬৪টি মামলা নথিভুক্ত করেছিল । লালু প্রসাদ ৬টিতে অভিযুক্ত ছিলেন; বিহার বিভক্তির পর ঝাড়খণ্ডে ৫টি স্থানান্তরিত করা হয় । ১ টির বিচার চলে পাটনায় । ঝাড়খণ্ডের ৪ মামালায় লালু দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ।পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযোগ ওঠে, ডোরান্ডা কোষাগার থেকে ১৩৯.৫ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল ।
পশুপালন অধিদপ্তর পশুখাদ্য, ওষুধ ও সরঞ্জাম কেনার জন্য জালিয়াতি করে ওই টাকা তুলেছিল । ১৯৯৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ডোরান্ডা থানায় মামলা (৬০/৯৬) দায়ের করা হয় । ১১মার্চ, ১৯৯৬-এ, পাটনা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। রাজ্য সরকার এসসির দ্বারস্থ হয়েছিল কিন্তু তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায় ।
❤ Support Us