- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- মার্চ ২৬, ২০২৫
অব্যাহত ইজরায়েলের হামলা, তার মধ্যেই হামাসের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের গণবিক্ষোভ

ইজরাইয়েলের সঙ্গে সংঘর্ষের পর প্রথম হামাসের বিরুদ্ধে বড়ো বিক্ষোভ মিছিল করলেন ফিলিস্তিনবাসীরা। ইরান-সমর্থিত হামাস গোষ্ঠির উৎখাতের দাবিও তুলছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা বলছেন, ‘আমরা কারো স্বার্থরক্ষার জন্য আর জীবন দিতে রাজি নই। হামাসের উচিৎ জনগণের কথা শোনা।’
এদিন শত শত ফিলিস্তিনি গাজা অঞ্চলের বিট লাহিয়া এলাকায় জমায়েত করেন। প্রতিবাদকারীরা হামাসবিরোধী স্লোগান দিয়ে চলমান যুদ্ধের অবসানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবি ও ভিডিওতে বিপুল জনসমাগমের চিত্র দেখা যায়।
অক্টোবর ৭-এর পর ফিলিস্তিনি নাগরিকদের কাছ থেকে এমন পাল্টা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়নি হামাস।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী আবার গাজার ওপর ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করেছে। নিহত হয়েছেন শতাধিক আমজনতা, যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, বাড়িঘর এখন ধবংস্তূপ। এরকম পরিস্থিতিতে এই বিক্ষোভ জমায়েত বিরল। বিক্ষোভকারীদের একজন, বেইত লাহিয়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ দিয়াব, যিনি এক বছর আগে ইজরায়েলি হামলায় তার ভাইকে হারিয়েছেন, যুদ্ধে বাড়িঘর হারিয়েছেন, তিনি বলেন, ‘আমরা কারও স্বার্থরক্ষার জন্য জীবন দিতে রাজি নই। হামাসের উচিত জনগণের কথা শোনা। মানুষ ক্লান্ত। যদি গাজায় হামাসের ক্ষমতা ত্যাগ করায় পরিস্থিতির সমাধান হয়, তবে কেন হামাস জনগণের সুরক্ষা দিতে ক্ষমতা ছেড়ে দিচ্ছে না?’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, অন্য আরেকজন প্রতিবাদকারী সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে , ‘আমি এই প্রতিরোধ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছি, কেবলমাত্র ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে একটি বার্তা বিশ্ববাসীর কাছে পাঠানোর জন্য, আমরা আর যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই।’ তিনি দাবি করেন, এদিন হামাসের বিদ্রোহীরা বেসামরিক পোশাকে এসে, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়। তারা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। ওরা প্রতিবাদ থামাতে চায়।
❤ Support Us