Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪

নৈনিতালের হলদওয়ানিতে সাম্প্রদায়িত হিংসা, মৃত ২, আহত শতাধিক

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নৈনিতালের হলদওয়ানিতে সাম্প্রদায়িত হিংসা, মৃত ২, আহত শতাধিক

উত্তপ্ত উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলার হলদওয়ানি এলাকা। সাম্প্রদায়িক হিংসায় নিহত হয়েছেন ২ জন। ১০০–রও বেশি মানুষ আহত। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। দেখা মাত্র পুলিশকে গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নৈনিতাল জেলার হলদওয়ানির বনভুলপুরায় ‘‌অবৈধ নির্মান’‌–এর অভিযোগে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে পৌর কর্মীরা একটা মাদ্রাসা ভেঙে দেয়। মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ ও পৌর কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। হামলাকারীরা বনভুলপুরা থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। বিশাল পুলিশ বাহিনী উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং থানায় প্রবেশ করতে বাধা দয়। এরপরই বনভুলপুরার কাছে গান্ধী নগর এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

নৈনিতাল জেলার সিনিয়র পুলিশ সুপার প্রহ্লাদ মীনা বলেন, ‘‌সরকারি জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত মাদ্রাসার বিষয়ে এর আগে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শোনেনি। এদিন পৌর কর্মীরা পুলিশ নিয়ে মাদ্রাসা ভাঙতে গেলে উত্তেজিত জনতা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে।’‌ নৈনিতালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বন্দনা জানিয়াছেন, ‘‌বনভুলপুরা থানার বাইরে কিছু লোক গুলি চালায়। পুলিশ পাল্টা শূন্যে গুলি চালায়। নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে। তারা পুলিশের গুলিতে মারা গেছে, নাকি হামলাকারীদের গুলিতে মারা গেছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এই হিংসা পূর্বপরিকল্পিত। বাড়িতে আগে থেকেই পাথর সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দাঙ্গাকারীরা এমনকি পেট্রোল বোমা ব্যবহার করেছিল।’‌ বন্দনার দাবি, দাঙ্গাকারীরা বনভুলপুরা থানায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য হলদওয়ানিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। শহরে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। এলাকার স্কুলগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকায় আধাসামরিক বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পেশের জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও শহরে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দাবি করেছেন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি রাজধানী দেরাদুনে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের একটি জুরুরি বৈঠকে ডেকেছেন। এসএসপি মীনা জানিয়েছেন, পৌর কমিশনার পঙ্কজ উপাধ্যায়, সিটি ম্যাজিস্ট্রেট রিচা সিং এবং এসডিএম পরিতোষ ভার্মার উপস্থিতিতে মাদ্রাসাটি ভাঙা হয়েছিল।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!