Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মার্চ ২৮, ২০২৫

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর আপ্ত-সহায়কের বিপুল সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন হিন্দু সংহতির, কটাক্ষ তৃণমূল শিবিরের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর আপ্ত-সহায়কের বিপুল সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন হিন্দু সংহতির, কটাক্ষ তৃণমূল শিবিরের

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আপ্ত সহায়ক অজয় সরকার সম্প্রতি বিতর্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, গাড়ি বিক্রেতা থেকে তিনি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছেন। গেরুয়া শিবিরের সংগঠন ‘হিন্দু সংহতি’ নেতা শান্তনু সিনহার তোলা অভিযোগে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার ও অভিযুক্ত আপ্ত সহায়ক অজয় রায় দুজনেই। তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে।

অজয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আরএসএসের শাখা সংগঠনের কর্তা শান্তনু সিনহা দাবি করেছেন যে, গাড়ির ব্যবসায়ী অজয়ের সম্পত্তি বিগত কয়েক বছরে অবিশ্বাস্যভাবে বেড়েছে, যা খুবই সন্দেহজনক। অবিলম্বে এ বিষয়ে তদন্ত করবার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। শোস্যাল মিডিয়ায় তাঁর করা এই পোস্টের পরই বঙ্গরাজনীতির ময়দানে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ খারিজ করে সুকান্তের পাল্টা দাবি, তাঁর স্বচ্ছ রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। অজয়ের সম্পত্তি তাঁর খেটে অর্জন করা টাকায় তৈরি। তাঁকে সমর্থন করে তাঁর আপ্ত সহায়কও দাবি করেছেন, তাঁর সম্পত্তির উত্থানের সঙ্গে সুকান্তের কোন সম্পর্ক নেই।

অভিযোগ খন্ডন করে অজয় সরকার বলেছেন, এই অভিযোগগুলি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের পরিশ্রমে এগিয়েছি, আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে।’ অজয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি ২০১১ সাল থেকে গাড়ির ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ২০১৩-১৪ সাল থেকে আয়কর রিটার্ন জমা দেন। ফেসবুকে তিনি তার আয়কর রিটার্নের তথ্যও পোস্ট করেছেন। তিনি আরো বলেন, মিনিস্ট্রি অব নর্থ ইস্ট রিজিওনের অ্যাডিশনাল প্রাইভেট সেক্রেটারি হিসেবে প্রতি মাসে প্রায় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। এমনকি, তার দাবি, তিনি যে গাড়ি ব্যবহার করেন, তা তার নিজস্ব নয়। হিন্দু সংহতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মনে করি সুকান্ত মজুমদারের ব্যক্তিগত অতিরিক্ত সচিবের সম্পত্তি সন্দেহজনকভাবে বাড়তে থাকলে, তার প্রভাব সুকান্তের ভাবমূর্তির উপরেও পড়বে। দলের এ বিষইয়টি নিয়ে তদন্ত করা উচিৎ।’

এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে চাপ তৈরি করতে ময়দানে নেমেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত অজয় সরকার ছিলেন একটি ছোট গাড়ি বিক্রেতা, অথচ বর্তমানে তার বিলাসবহুল বাড়ি এবং কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তাঁরা দাবি করছে , ২০১৯ সালে যখন সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাট আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন, তখন অজয় একটি ছোট্ট টিনের ঘরে থাকতেন। কিন্তু সুকান্তের উত্থানের পর থেকে অজয়ের সম্পত্তির আলোর গতিতে বেড়েছে। তৃণমূল নেতারা জানাচ্ছেন, অজয় বর্তমানে বালুরঘাট শহরে বিলাসবহুল বাড়ি আর বালুরঘাটের কাছের চকভৃগু এলাকায় কয়েক বিঘা জমির মালিক। তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়ালএই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, অজয় সরকারের সম্পত্তি বৃদ্ধির উৎস কী, তা আমরা জানি না। আগে তো তাঁকে মধ্যবিত্ত ব্যাক্তি হিসাবেই চিনতাম। আকস্মিক তাঁর এমন বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়াটা সন্দেহজনক, তদন্ত হওয়া উচিত।’ তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিবিআই ও ইডি দিয়ে এ বিষয়ে তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে।


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!