Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জানুয়ারি ২৩, ২০২৪

ফের বন্দী মুক্তির সম্ভাবনা। ২ মাসের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব ইসরায়েলর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ফের বন্দী মুক্তির সম্ভাবনা। ২ মাসের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব ইসরায়েলর

৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষের মধ্যে ইসরাইল গাজায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের সামরিক অভিযান দুই মাসের জন্য বিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। যদি এই প্রস্তাব সফল হয় তা হলে এটি হবে নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির পরে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।

 

কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে প্রস্তাবটি পেশ করা হয়। বিনিময়ে, ইসরাইল বাকি ১৩৬ বন্দীর পর্যায়ক্রমে মুক্তি চায়।

 

উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রস্তাবটি ইসরায়েল-হামাস চলমান যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসানের জন্য হামাসের দাবির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, প্রসঙ্গত গত ৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা ইসরায়েলে প্রবেশ করে অসামরিক মানুষদের আক্রমণ করার পর এই রক্তপাত শুরু হয়।

 

এই প্রস্তাবে পর্যায়ক্রমে বন্দীদের নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাছাড়া, এতে গাজার প্রধান জনসংখ্যা কেন্দ্র থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পাশাপাশি গাজার উত্তরে ফিলিস্তিনিদের ধীরে ধীরে ফিরে আসাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরায়েল এই প্রস্তাবের পর এখন হামাসের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও ইসলামিক ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী কখন এবং কীভাবে ইসরায়েলের প্রস্তাবে সাড়া দেবে তা অনিশ্চিত। ইসরায়েল আশা করছে যে আগামী দিনে এই প্রস্তাবের ফলে অগ্রগতি দেখা যাবে।

 

প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে যে ইসরায়েল এবং হামাস ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৬ হাজার বন্দীর মধ্যে কতজনকে মুক্তি দেওয়া হবে তা নিয়ে পূর্বে একমত হবে। তবে এই আসামিদের নির্দিষ্ট নাম নিয়ে আলাদা আলোচনা হবে।

 

এর আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, হামাস চুক্তি সম্পর্কে বন্দীদের পরিবারের সাথে কথা বলার সময় বলেছিলেন, “আমি আপনাদের যতটা সম্ভব পরিষ্কারভাবে বলছি, কারণ এমন অনেকগুলি অসত্য দাবি রয়েছে যা অবশ্যই আপনাদের মানসিক ভাবে নির্যাতিত করছে। অন্যদিকে, আমাদের একটি উদ্যোগ আছে, আমি সেটা বিস্তারিত বলব না।”

 

নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির পর, ইসরায়েল আবার হামাসকে ১ ডিসেম্বর থেকে আঘাত করতে শুরু করে। অতএব, যুদ্ধে দুই মাসের বিরতি অর্জিত হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, বন্দিদের বয়স ও লিঙ্গ জানা যায়নি। তদুপরি, বন্দী অবস্থায় কতজন মারা গেছে তাও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেছেন যে “আমার একটি প্রস্তাব রয়েছে, যা আমি মন্ত্রিসভায় পাসও করেছি। আমরা তা জানিয়েছি এবং এখন তারা বলছে যুদ্ধের টানাপোড়েন আছে। আমি এখানে এর চাইতে বিস্তারিত বলতে পারব না, তবে আমাদের প্রস্তাবটি এমন কিছু যা আমরা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে দিয়েছি।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!