- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ৫, ২০২৪
সন্দেশখালির অঘটন নিয়ে ক্ষুব্ধ বিচারপতি: আধিকারিরা মার খেলে তদন্ত কী করে হবে ? সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়ছে, কেন বলছেন না বোস ?
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক কাজিয়া। তৃণমূলের বক্তব্য, কেন্দ্রের নির্দেশে তৃণমূল নেতৃত্বকে বেইজ্জত করার ফল। পাশাপাশি বিজেপি এই ঘটনায় রোহিঙ্গা যোগ দেখছে। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে তৃণমূলের ইন্ধনে সন্দেশখালির ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি এর মধ্যে হিন্দু-মুসলমান টেনে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে।
এরই মধ্যে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না রাজ্যের সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে? যদি তদন্তকারীরা মার খান তবে তদন্ত হবে কি করে?” অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট এবং রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সন্দেশখালির ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু শুধু তৃণমূলকে বেইজ্জত করবে বলে বিজেপির নির্দেশে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তল্লাশির নামে প্ররোচনা দিচ্ছে। এটি একটি ধারাবাহিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।”
এর পর কুণাল ঘোষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘রেজিস্টার্ড চোর’ বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিজেপি নেতাদের বাড়ি তল্লাশি হয় না। কিন্তু যেখানেই বিজেপি সংগঠনে পাল্লা দিতে পারছে না, সেই জায়গায় গিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষকে প্ররোচিত করা হচ্ছে, গন্ডগোল তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। সন্দেশখালির ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে আমরা সাধারণ মানুষদের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।”
এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালির ঘটনায় রোহিঙ্গা যোগের উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আমার সন্দেহ যে জাতীয়তা বিরোধী হামলাকারীদের মধ্যে রোহিঙ্গারা রয়েছে। আমি মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে অনুরোধ করছি এই গুরুতর পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই নৈরাজ্যকে দমন করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।” সুকান্ত মজুমদারও সন্দেশখালির ঘটনায় বলেছেন, “এরা শুধু তৃণমূল নয়, রোহিঙ্গারাও এদের মধ্যে আছে।”
#WATCH On attack on ED team in West Bengal today, Congress MP AR Chowdhury says, “After the attack by goons of ruling govt on ED officials, it is clear that there is no law & order in the state. Today, they were injured, tomorrow they could be murdered. Such a thing would not… pic.twitter.com/oAwfrcClXn
— ANI (@ANI) January 5, 2024
এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “বিজেপি সন্দেশখালি নিয়ে হিন্দু-মুসলমান করছে। এটা ওদের নোংরা রাজনীতি। যে আইন ভাঙছে সে দেশের আইন ভাঙছে। যে অপরাধ করছে তাকে ধরতে কি হিন্দু বা মুসলমানরা বারণ করেছে? আসলে রাজ্য প্রশাসন তৃণমূলের অঙ্গুলহেলন চলছে, তাই তারা নীরব, সরকারের নির্দেশেই এসব হচ্ছে। আর সংবাদ মাধ্যম এখন নয় অনেক আগে থেকেই আক্রান্ত।”
সন্দেশখালির ঘটনা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রমাণ করছে বলে মন্তব্য করেন সিপিএম সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,”ভয়ানক ঘটনা। এই ঘটনা প্রমাণ করছে রাজ্যে চূড়ান্ত আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। তদন্তকারী সংস্থা মার খাচ্ছে, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ আক্রান্ত।”
#WATCH | Members of the ED team who received injuries during an attack on their vehicle in West Bengal's Sandeshkhali today, have been shifted to a local hospital in Kolkata pic.twitter.com/88xaXZba2w
— ANI (@ANI) January 5, 2024
❤ Support Us