- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
মোদির “গ্যারিন্টি”-তে বেকারত্ব বেড়েছে দেশে, কটাক্ষ কুণাল ঘোষের
নরেন্দ্র মোদির গ্যারিন্টি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ। শনিবার নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যায় বলেন,”আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন মোদির গ্যারিন্টি এত শক্তি কথা থেকে আসে? আমি বলেছি, মোদি কথা দিলে কথা রাখে। গ্যারিন্টি পূরণের জন্য আমি দিবারাত্র কাজ করি। এটাই মোদির গ্যারিন্টির শক্তি।”
এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ শনিবার বলেন, “মোদির গ্যারিন্টি মানে মানুষ জানে বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি, সবার ব্যাঙ্কে ১৫ হাজার টাকা তিনি দেবেন। সেটা কোথায়? এই গ্যারিন্টি পূরণ হলে ২০ কোটি বেকারের চাকর হওয়ার কথা। উল্টে ১০ কোটি বেকার বেড়েছে। তার মানে এখন বেকারের সংখ্যা ৩০ কোটিতে পৌঁছেছে। এই গ্যারিন্টি কি পূরণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি?”
This 𝘪𝘯𝘥𝘦𝘦𝘥 is PM @narendramodi‘s New India!
👉Where 97 crore people are unable to afford a healthy diet, yet the govt. slashes foodgrain subsidies for the poor by 63%
👉Where 2 lakh urban dwellers remain homeless and 6.5 crores reside in slums
👉Where 42% of young… pic.twitter.com/mZR1CHKQAZ
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) December 30, 2023
শুধু এখানেই শেষ নয়। নরেন্দ্র মোদি যখন দেশের ক্ষমতায় আসেন সেই ২০১৪ সালে দেশে একটি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৪০০ টাকার কিছু বেশি ছিল। আজ যে রান্নার তেলের দাম কিলো প্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা তার দাম ছিল কিলো প্রতি ৪০ থেকে ৬০। ৩৮ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম যে চালের দাম ছিল তা এখন ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। শীতকালে এই সময় নতুন আলু ২০১৪ সালে দাম ছিল ৮ টাকা, সেই আলুর দাম এখন ২০ থেকে ২৫ টাকা।
সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১২৫টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১১১-তে। দেশের ইকোনমিক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা CMIE ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশের কর্মসংস্থানের হারে পতনের তথ্য তুলে ধরেছে। ডিসেম্বর মাসে ভারতে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৩০ শতাংশে। এটি ১৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২২-এর নভেম্বর মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৮ শতাংশ। সাম্প্রতিক আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের সামগ্রিক সাক্ষরতার হার ৭৭%, যেখানে পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৮৪.৮৪ % এবং মহিলাদের রয়েছে ৭১.৫১ %। ভারতে শিশুদের অপুষ্টির হার ১৮.৭ শতাংশ, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। ৪.৩ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার এমনিতেই অন্যান্য এগিয়ে থাকা অর্থনীতির দেশগুলির তুলনায় যথেষ্ট বেশি, প্রায় ৫ শতাংশ। বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম, পেট্রল, ডিজেলের দাম।
এই পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ মানুষ নিজেদের ভাতের থালায় আপোষ করেছে। বাজারে আগে ২০০ টাকা নিয়ে গিয়ে যতটা জিনিস কেনা যেত তার ছিটেফোঁটাও এখন কেনা যায় না ২০০ টাকায়। অথচ এই বিজেপি সরকার সদ্য শেষ হওয়া ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে রান্নার গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় ৪৫০ টাকায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমিয়েও দিয়েছে। এখন প্রশ্ন, আম জনতার ভোটে জিতে কি রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সেই আম জনতাকেই শোষণের অধিকার জন্মে যায়? সেই প্রশ্নই লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। তাই এখন প্রশ্ন উঠছে দেশে এখন রামমন্দির না কারখানা কোনটা প্রয়োজন?
❤ Support Us