- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৮, ২০২৫
মাধ্যমিকের রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফলাফল প্রকাশিত। মেধাতালিকায় বড়সড় রদবদল, শীর্ষ ১০-এ জায়গা নতুন ৯ জনের

চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে এল বড়সড় বদল। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক-২০২৫-এর স্ক্রুটিনি ও রিভিউ -এর ফলাফল। সামনে এল নতুন করে তৈরি হওয়া মেধাতালিকা। ফল প্রকাশের ৪৮ দিন পর নতুন র্যাঙ্কিংয়ে দেখা গেল, শীর্ষ ১০-এ এবার জায়গা করে নিয়েছে আরও ৯ জন কৃতী। ফলে মেধা তালিকায় কৃতীদের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫। ২ মে ফল প্রকাশের দিন সংখ্যাটি ছিল ৬৬।
বড় চমক দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতীক মান্না, চতুর্থ স্থান থেকে তিনি উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর এখন ৬৯৪। মালদহের সৃজন প্রামাণিক ও বাঁকুড়ার সৌপ্তিক মুখোপাধ্যায় অষ্টম স্থান থেকে উঠে এসেছেন সপ্তম স্থানে, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। বাঁকুড়ার দেবজিৎ লাহা ও পূর্ব মেদিনীপুরের অন্তরীপ মাইতি একাদশ স্থান থেকে উঠে এসেছেন অষ্টম স্থানে। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। দক্ষিণ দিনাজপুরের চয়ন রায় একাদশ থেকে উঠে এসেছেন নবম স্থানে, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। একই নম্বর পেয়ে নবম স্থানে স্থান পেয়েছেন বীরভূমের সম্যক দাস ও পূর্ব মেদিনীপুরের রূপম দীক্ষিত। কোচবিহারের অনন্যা মজুমদার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রেরণা বৈদ্য একাদশ স্থান থেকে উঠে এসেছেন দশম স্থানে, তাঁদের নম্বর ৬৮৬। নতুন করে মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন মালদহের প্রজ্ঞান দেবনাথ ও বাঁকুড়ার সায়নদীপ ঘোষ। এঁরাও দশম স্থান অধিকার করেছেন। সঙ্গী হয়েছেন পূর্বে ত্রয়োদশ স্থানে থাকা হুগলির সোহম করণ, যিনি এখন ৬৮৬ নম্বর নিয়ে যৌথভাবে দশম স্থানে।
পর্ষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিভিউ ও স্ক্রুটিনি মিলিয়ে এ বছর প্রায় ৫৬ হাজার পড়ুয়া আবেদন করেছিল। তার মধ্যে ৩৯০০ জন আবেদন করেছিল পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি বা পিপিএস-এর জন্য এবং ১৯১ জন পিপিআর বা পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। পিপিএস-এর ফলে মোট ২৪০০ জনের নম্বর পরিবর্তন হয়েছে, এবং পিপিআরের ফলে বদলেছে ৫৬ জনের নম্বর। সব মিলিয়ে মোট ১২,৪৬৮ জন সফল পরীক্ষার্থীর নম্বর বদলেছে। পাশাপাশি ১,২৩৮ জন অসফল পরীক্ষার্থীর ফলাফলেও এসেছে পরিবর্তন।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, এই ফলপ্রকাশের মাধ্যমে প্রমাণ হল যে, নম্বর যাচাই ও পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, ‘২০২৫-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের প্রেক্ষিতে পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি এবং রিভিউ রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। সফল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১২,৪৬৮ জনের প্রাপ্ত নম্বর পরিবর্তিত হয়েছে। এক থেকে দশ শীর্ষ স্থানাধিকারীর সংখ্যা ৬৬ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ৭৫ হয়েছে।’ পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাঁদের নম্বর পরিবর্তন হয়েছে, তাঁরা তাঁদের সংশ্লিষ্ট স্কুলের মাধ্যমে পুরনো মার্কশিট ও সার্টিফিকেট জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক দফতর থেকে নতুন মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে। পরীক্ষার্থীরা [https://result.wbbsedata.com] (https://result.wbbsedata.com) ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে লগ ইন করলেই দেখতে পারবেন তাঁদের সংশোধিত ফলাফল। স্কুলগুলির জন্য ওয়েবসাইটে নির্ধারিত লগইন ব্যবহার করে একত্রে পিডিএফ ফাইল আকারে সমস্ত ছাত্রছাত্রীর সংশোধিত ফলাফল ডাউনলোড করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের ৪৮ দিনের মাথায় মেধা তালিকায় এমন বড় পরিবর্তন নজিরবিহীন। কৃতীদের নামের এই তালিকায় হঠাৎ পরিবর্তন যেমন অনেককে চমকে দিয়েছে, তেমনই আবার প্রমাণ করেছে— সঠিক মূল্যায়নের গুরুত্ব। সময়মতো ফল প্রকাশ আর নম্বর যাচাইয়ের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সক্রিয়তা প্রশংসাযোগ্য। পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন, ফল প্রকাশ ও সংশোধিত মার্কশিট বিতরণ— দুই ক্ষেত্রেই যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন করতে পর্ষদ বদ্ধপরিকর। বিদ্যালয়গুলিকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
❤ Support Us