- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ২২, ২০২৪
আজ দক্ষিণে মমতা, উত্তরে শুভেন্দু-সহ কলকাতা শহর জুড়ে ৬০র বেশি মিছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সজাগ প্রশাসন
আজ অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন ও রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে আজ সোমবার, ২২ জানুয়ারি হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত সংহতি মিছিল করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী সহ কলকাতায় বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক মিলিয়ে প্রায় ৬০টির বেশি মিছিল হবে।
সংহতি মিছিলের ফাঁকে ফাঁকেই আরও কিছু কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর । মিছিল শুরুর আগে যে তিনি পুজো দেবেন কালীঘাট মন্দিরে। কালীঘাট মন্দির থেকে পুজো দিয়ে বেরিয়ে মমতা যাবেন হাজরার মিছিলের জমায়েতে। বেলা সাড়ে ৩টের সময় হাজরা মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে তা এগোবে হাজরা রোড ধরে। মমতা হাজরা রোড ধরে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি হয়ে সেখান থেকে বাঁ-দিকে মোড় নিয়ে পার্ক সার্কাসে পৌঁছবেন। হাজরা রোড ধরে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে হাজরা ল’কলেজের সামনে থামবে মিছিল। সেখানে রয়েছে একটি মসজিদ। মিছিলের সম্মুখ ভাগ থেকে স্কুটারে চড়ে সেই মসজিদে গিয়ে চাদর চড়াবেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী। সেখান থেকে আবার ফিরে আসবেন মিছিলের পুরোভাগে। তার পর মিছিল যাবে পার্ক সার্কাস ময়দান।
সোমবার সকালে উত্তর কলকাতায় একটি ধর্মীয় সংগঠনের মিছিলে অংশ নেবেন শুভেন্দু অধিকারী। উত্তর কলকাতার গনেশ টকিজ এলাকার বৈকুণ্ঠ মন্দির থেকে শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে কালীঘাটে রামপুজোর আয়োজন করেছে বিজেপি। সেখানে প্রয়োজনে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। ভবানীপুরের রমেশ মিত্র রোড থেকে একটি মিছিল যাবে ক্যামাক স্ট্রিট পর্যন্ত। অন্য মিছিলটি শিয়ালদহ স্টেশন থেকে শুরু হয়ে গিরীশ পার্কে রামমন্দিরের সামনে শেষ হবে। ধর্মতলা মোড়েও কয়েকটি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সমাবেশ রয়েছে। গণ ও সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল মিলিয়ে প্রায় ২০০টি সংগঠন একটি মিছিল করবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী মহামিছিল। দুপুর ১টায় শুরু হবে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে, শেষ হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে।
সপ্তাহের প্রথম দিন এই মিছিলের জেরে শহরে যান চলাচল ও আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি অটুট রাখতে সাড়ে তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করছে লালবাজার। দিনভর ঠাসা কর্মসূচিতে মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার একাধিক রাস্তা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হতে পারে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে বিকল্প রুটে যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে লালবাজার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি চহর ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অটুট রাখতে পুলিশ ও প্রশাসন সজাগ থাকছে।
❤ Support Us