- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুলাই ৩, ২০২৩
বাসন্তীর নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে যেতে পারলেন না রাজ্যপাল । গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ মৃতের মেয়ের
ফাইলচিত্র
বাসন্তীর যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা খুনের ঘটনায় কাঁঠালবেড়িয়ায় তার বাড়িতে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ। জিয়ারুল মোল্লার কন্যা মানোয়ারা পিয়াদার অভিযোগ, “আমাদের বাড়ির ৩০০ মিটার দূরে রাজ্যপালকে পুলিশ ও তৃণমূলের নেতারা আটকে দিল।আমাদের বাড়িতে আসতে দিল না। আমরা যদি খুনিদের নাম বলে দিই সেই ভয়ে এটা করলো। রাজ্যপাল রবিবার ফোন করে আমায় বলেছিলেন তিনি সোমবার আমাদের বাড়িতে আসবেন, আমার বাবার খুনের সুবিচার দেবেন। কিন্তু সেটা তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা এবং পুলিশ হতে দিল না। আমি আশা করেছিলাম রাজ্যপাল আমাদের বাড়িতে এলে, সব শুনলে তিনি আমাদের সুবিচার দেবেন। আমার এই রাজ্য পুলিশ, দল উপর কোনো ভরসা নেই। ৪৮ ঘন্টা হয়ে গেছে বাবাকে ওরা খুন করেছে কিন্তু এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করল না। তৃণমূল নেতাও আমাদের বাড়িতে ফোন করল না, এলনা। আমি কাঁঠালবেড়িয়ার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। আমি এই দল আর করব না।”
সোমবার এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বাসন্তীর কাঠালবেরিয়া গ্রামের যুব তৃণমূলের খুন হয়ে যাওয়া নেতা জিয়ারুল মোল্লার কন্যা মনোয়ারা পিয়াদা।
মানোয়াড়ার অভিযোগ, “গত দু’বছর ধরে বাবাকে মাদার তৃণমূল থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে ফোনে। আমি প্রার্থী হওয়ার পর এই হুমকি আরও বেড়েছে। আমায় বলেছিলেন, আমি দল ছেড়ে দিয়েছি তুমিও ছেড়ে দাও। আমার স্বামী আমাকে বোঝালো, রাজনীতি করলে এরকম হুমকি আসে ওতে ভয় পেতে নেই। বাবা বসে গিয়েছিল। আমাকে মাদার তৃণমূল থেকে হুমকি দেওয়া হতো যুব তৃণমূল ছেড়ে মাদারে যোগ দিতে। বাবা এই হুমকির ফোন, ফোন নম্বর, কত দু’বছর ধরে থানায় জানিয়ে কোন সুরাহা পেল না। পর্যন্ত বাবার মরতে হলো। আমার এই পুলিশে কোন ভরসা নেই। চাই আমার বাবার তোর ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক। পালের উপর আমার ভরসা আছে। আমি যে কোনভাবে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আজ ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতারা রাজ্যপালকে আমাদের বাড়িতে আসতে দিল না সত্য প্রকাশ্যে বেরিয়ে যাবে সেই ভয়ে।”
এদিকে রাজমহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর ওএসডি ছিলেন। তাঁরা পারুলের বাড়ি চেনেন না। পুলিশ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতারা তাদের যে পর্যন্ত নিয়ে গেছে তারা সেই পর্যন্তই গেছেন। জিয়ারুলের বাড়ির ঠিকানা সঠিকভাবে রাজ্যপালকে না জানিয়ে তাকে ঘুর পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের কাছে জিজ্ঞেস করে রাজ্যপাল কেন মৃত জিয়ারুল মোল্লার বাড়িতে গেলেন না সেই প্রশ্ন উঠছে।
জানা যাচ্ছে ক্যানিংয়ে সেচ দফতরের বাংলোয় রাজ্যপালের সঙ্গে মৃত জিয়ারুলের পরিবার দেখা করবে। ফোন করে রাজ্যপাল জিয়ারুলের পরিবারকে ক্যানিংয়ের সেচ দফতরের গেস্ট হাউসে আসার জন্য ডাকলেন।
❤ Support Us






