Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • জুলাই ৩, ২০২৩

রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জট কাটল, ৮২২ কোম্পানি বাহিনীই আসছে রাজ্যে। কমিশনকে চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জট কাটল, ৮২২ কোম্পানি বাহিনীই আসছে রাজ্যে। কমিশনকে চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জট কাটল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মতো রাজ্যে আসছে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে এই বাহিনী পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে। এর আগে প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসেছিল। তার পরে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল রাজ্যে। তৃতীয় দফায় ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কমিশন চেয়ে পাঠালেও সেই বাহিনী আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। অবশেষে সেই অনিশ্চয়তা কাটলো। এই ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মতো পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসবে। তাহলে এবার নিশ্চয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপ্রতুলতার কারণে বুথে রাজ্য পুলিশ রাখতে হবে না।

রাজ্য নিবাচন কমিশন প্রথমে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্যে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায়। ওই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রের কাছে এক ধাক্কায় আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার আগেই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই ওই ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ধাপে ধাপে রাজ্যে আসতেও শুরু করে দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৩২৩ কোম্পানির মধ্যে বিএসএফ থেকে ১০০ কোম্পানি, সিআরপিএফ থেকে ৭৩ কোম্পানি, এসএসবি থেকে ৫০ কোম্পানি, সিআইএসএফ থেকে ৪০ কোম্পানি আরপিএফ থেকে ৩০ কোম্পানি এবং আইটিপিবি থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী আসবে। এ ছাড়াও ২০টি রাজ্য থেকে আসবে ১৬২ কোম্পানি বাহিনী।

সোমবারই কলকাতা হাই কোর্টে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত একটি মামলায় কমিশনের আইনজীবী বলেন, “সাধারণত স্পর্শকাতর বুথে অতিরিক্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়ে থাকে। তবে এখন যা কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে তাতে প্রতি বুথে দেওয়া সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের আস্থা বাড়ানো এবং এরিয়া ডমিনেশনের জন্য সোই বাহিনী রাখার কথা চিন্তা করা হয়েছে। কারণ, ৮২২ কোম্পানি বাহিনীর ব্যবস্থা করা যায়নি। কেন্দ্র ৩৩৭ কোম্পানি দেবে বলেছে। তার মধ্যে ১১৩ কোম্পানি বাহিনী এখনও আসেনি। চলে আসবে বলেছে।” তবে তার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। এই ঘোষণার পর এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাদের চাহিদদ মতো মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীই পেতে চলেছে।

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর দাবিতে প্রথম থেকেই সরব ছিল রাজ্যের বিরোধীরা। পরে এই নিয়ে আইনি লড়াইয়ে শামিল হয় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কমিশন। হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠায় কমিশন। অন্তত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৮২ হাজার জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত। বলা হয় ২০১৩ সালের মতো করে ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে হবে। তখন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলায় জানায়, এক দফায় ভোট হলে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব নয়। তার পর এক দফার পরিবর্তে একাধিক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করার দাবি আদালতে জানায় বিরোধীরা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!