- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদির ফোনালাপ। ফেব্রুয়ারিতে সাক্ষাতের সম্ভাবনা

গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের জন্য রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপ করেছেন তিনি। অবৈধ অভিবাসীদের ফেরানোর ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে ভারত – আশা মার্কিন রাষ্ট্রপতির।
গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের জন্য রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর ঘোষণা করেছেন একের পর এক নতুন বিধিনিষেধ। । অবৈধ অভিবাসীদের নিজেদের দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে বড়ো পদক্ষেপ নিতে চলেছে ওয়াশিংটন। প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ ‘নাগরিক’ কে চিহ্নিত করা করেছে। তাঁদের নিজের দেশে ফেরনোর প্রক্রিয়া শুরু করতে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলছেন ট্রাম্প। সোমবার সকালে সোমবার ‘বন্ধু’ মোদির সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপ করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের এই কথোপকথন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন , অবৈধ অভিবাসীদের ফেরানোর ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে ভারত। এছাড়াও, ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের ঘোষণা করেছেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মোদীকে ফোন করে নতুন দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক আলোচনার সূচনা করেছেন ট্রাম্প। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয় নি। আমেরিকার নতুন সরকার গঠনের পর থেকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মোদি-ট্রামের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করাতে। দুই দেশের বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে সচেষ্ট উভয় দেশের বিদেশমন্ত্রক।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ট্রাম্প এই ফোনকলকে “সদর্থক” বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন তাঁরা সুষ্ঠু ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের দিকে এগোনোর বিষয়ে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউস বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং তা আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ইন্দো-প্যাসিফিক, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপ সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ইস্যুতেও আলোচনা করেছেন। রাষ্ট্রপতি আমেরিকার থেকে ভারতের অস্ত্রশস্ত্র কেনবার পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নতির দিকে অগ্রসর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। আমেরিকা-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কোয়াড অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপর জোর দিয়েছেন উভয়েই। ভারত এই বছরের শেষের দিকে প্রথমবারের মতো কোয়াড বৈঠক আয়োজন করতে চলেছে।
অবৈধ অধিবাসী ফেরানোর পদক্ষেপ নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম আন্তর্জাতিক মহল। আমেরিকায় একটা বড় অংশ ভারতীয়। তাঁদের নিজের দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে দিল্লির উপর আস্থা রাখছেন ট্রাম্প। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও এ নিয়ে কোনো বিরোধিতা করা হয় নি। বরং বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, তাঁরা আমেরিকায় অবৈধভাবে বাস করা নাগরিকদের দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারকে সাহায্য করবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অবশ্য হাজির ছিলেন না ‘বন্ধু’ মোদী। তাঁর বদলে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও -এর সঙ্গে একাধিক করেছেন তিনি।
ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের কথা জানিয়ে নিজের X-হ্যান্ডেলে মোদী লিখেছেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত হলাম। তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন জানালাম। আমরা পারস্পরিক উন্নয়ন এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।’’
উল্লেখ্য, আমেরিকা থেকে ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের গ্রহণ করতে রাজি হয়নি কলম্বিয়া। এরপরই কলম্বিয়ার ওপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়াও চাপানো হয়েছে অন্যন্য বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা। ভারত কীভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষকে দেশে ফেরাবে, সে নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয় নি কেন্দ্র সরকারের তরফে।
❤ Support Us