- এই মুহূর্তে দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিনকে দায়ি করেছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়করা
স্তব্ধ হয়ে গেল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে কট্টর সমালোচকের কন্ঠ। শুক্রবার মারা গেলেন অ্যালেক্সেই নাভালনি। সাইবেরিয়ার ইয়ামল নেনেৎস প্রদেশের থার্প পেনাল কলোনিতে ৪৭ বছর বয়সে মারা গেলেন এই পুতিন–সমালোচক। তাঁর মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব। নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিনকে দায়ি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
বিগত দেড় দশক ধরে রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী নেতা হিসেবে গোটা বিশ্বে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন নাভলনি। পুতিন সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি তুলে ধরে তিনি প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছিলেন। ২০২০ সালে তাঁর অন্তর্বাসে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন কোমায় ছিলেন। জার্মানিতে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে আবার দেশে ফিরে এসে পুতিনের বিরুদ্ধে সরব হন। এরপর একের পর এক মামলায় জড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
২০২১ সাল থেকে কারাগারে বন্দী ছিলেন নাভালনি। গতবছরের শেষদিকে রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের সবথেকে ভয়ঙ্কর কারাগার খার্প পেনাল কলোনির কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়। বন্দীদের ওপর নিষ্ঠুর অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত এই কারাগার। শুক্রবার কারাগারের মধ্যে হাঁটাহাটি করার সময় অসুস্থ বোধ করেন নাভালনি। সঙ্গে সঙ্গেই জ্ঞান হারান। জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসক দল ডাকা হয়। অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি নাভালনিকে।
নাভালনির মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই পুতিনকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর খবরে বিস্মিত নন৷ নাভালনির মৃত্যুর জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করে বলেন, ‘এটা পুতিনের বর্বরতার প্রমাণ।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক নাভালনির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘রাশিয়ার গণতন্ত্রের পক্ষে একজন কট্টর আইনজীবী। ন্যায়বিচারের এক নির্ভীক যোদ্ধা।’ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ‘নাভালনির মৃত্যুর জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জবাবদিহি করতে হবে।’ শান্তিতে নোবেলজয়ী রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতোভ বলেছেন, ‘নাভালনিকে তিন বছর ধরে নির্যাতন ও যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে।’ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেন, ‘জীবন দিয়ে নাভালনি নিজের সাহসের প্রতিদান দিয়ে গেলেন।’
নাভালিনের মৃত্যর পর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। জার্মানির বার্লিনে রাশিয়ান দূতাবাসের বাইরে ‘পুতিন খুনি! পুতিন টু দ্য হেগ’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। ওয়ারশতে বিক্ষোভকারীরা রাশিয়ান দূতাবাসের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন। নাভালনির প্রতিকৃতি নিয়ে জুরিখের রেলস্টেশনের বাইরে এবং জেনেভাতে জাতিসংঘের সামনে হাজার হাজার সমবেত হয়েছিলেন।
❤ Support Us