- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
বাংলায় “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা” কাটছাট করে দিল্লি চললেন রাহুল
কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতেই বৃহস্পতিবারের মতো “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা” শেষ হলো। দিল্লি রওনা হলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। আগামী ২৬ এবং ২৭ জানুয়ারি রাহুল গান্ধির “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা”-র বিশ্রামের দিন। ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে রাহুলের কিছু অনুষ্ঠান আছে। ২৭ জানুয়ারি কিছু দলীয় কাজ রয়েছে কংগ্রেস সাংসদের। তারপর ২৮ এবং ২৯ জানুয়ারি এই দুইদিন রাহুল বাংলায় আবার বাংলায় আসবেন “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা” নিয়ে। বৃহস্পতিবার রাহুলের জনসভা, পদযাত্রা করার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অসম থেকে বাসে তিনি কোচবিহারের বক্সীরহাট পৌঁছন। এখান থেকে তিনি একটি গাড়িতে হাসিমারা যান। সেই গাড়িতে করেই তিনি হাসিমারা যান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে তিনি বাগডোগরা হয়ে বিমানে দিল্লি যাবেন বলে প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সভা ও পদযাত্রা বাতিল হয়ে যায় রাহুল গান্ধি অনুষ্ঠান কাটছাট করে দিল্লি ফিরে যাওয়ার জন্য।
বুধবার “একলো চলো”-র ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যে এসে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি দাবি করলেন, বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবকর সংঘ বা আরএসএস-এর অন্যায়ের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করবে ইন্ডিয়া জোট। এদিকে রাহুলের এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি পশ্চিমবঙ্গে এসে মমতার “মানভঞ্জন”-এর চেষ্টা করছেন রাহুল?
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের বক্সিরহাটে প্রবেশ করে রাহুলের “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা”। এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর পাশে দাঁড়িয়ে রাহুল বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আসতে পেরে তার ভালো লাগছে। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। ভারত জোড়ো যাত্রার সঙ্গে আমরা ন্যায় যুক্ত করেছি। কারণ দেশে অন্যায় হচ্ছে। বিজেপি এবং আরএসএস ঘৃণা ছড়াচ্ছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করবে ইন্ডিয়া জোট।”
বুধবার তৃণমূলনেত্রী বাংলায় একলা চলার বার্তা দিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতির জন্যও তৃণমূলের নেতারা মূলত অধীরকেই অভিযুক্ত করছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, দিল্লিতে যখন জোট নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন রাজ্যে লাগাতার মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন অধীর চৌধুরী। দীপা দাশমুন্সি বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির দালাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তাতে তৃণমূল বাংলার ৪২টি আসনে একাই লড়বে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা দিতে দেরি করে ফেলেছেন। ভুলে গেলে চলবে না বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই তৃণমূল একাই করছে।”
এদিকে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুল গান্ধি বাংলায় কেন “ন্যায় যাত্রা” করছেন সেই প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “বাংলায় কিসের ন্যায় যাত্রা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় ন্যায়ের শাসন চালাচ্ছেন। তাছাড়া ইন্ডিয়া জোটের শরিক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলায় রাহুল গান্ধির ন্যায় যাত্রার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। অথচ ইন্ডিয়া জোটের প্রধান উদ্যোক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
তবে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব ইন্ডিয়া জোটে অপরিসীম”, বলে মন্তব্য করে বলেছেন, “মল্লিকার্জুন খাড়গে চিঠি লিখে বাংলায় রাহুল গান্ধির “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা” সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন। আমরা মনে করি , সোনিয়া গান্ধি মনে করেন, ইন্ডিয়া জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরিহার্য।”
❤ Support Us