- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
ধর্মের নামে বিভাজনকে গেরুয়া ইন্ধন, ন্যায় যাত্রায় মন্তব্য রাহুলের
“ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা”-র তৃতীয় দিন, মঙ্গলবার, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি কোহিমায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন, “২২ জানুয়ারি, অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান আরএসএস, বিজেপি-র ভাবনা অনুযায়ী একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক অনুষ্ঠান। নির্বাচনের মুখে আমাদের বিরোধী আরএসএস,বিজেপি এই অনুষ্ঠানকে তাদের প্রচারের কাজে লাগাচ্ছে, নিজেদের নীতি অনুসারে। তাই আমরা রামমন্দির উদ্বোধনে যেতে পারি না। তবে আমরা কোনও ধর্মের বিরোধী নই। ২২ জানুয়ারির রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান আসলে নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠান, বিজেপির অনুষ্ঠান, আরএসএস-এর অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক রং ও রূপ দিয়েছে আরএসএস, বিজেপি। তাই হিন্দু ধর্মের প্রধানরা বলছেন, এই অনুষ্ঠানে তাঁরাও যাবেন না। আমাদের বিরোধী আরএসএস, বিজেপি-র রাজনৈতিক মতাদর্শে তৈরি অনুষ্ঠানে তাই আমরাও যাব না বলে কংগ্রেস সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন।”
কেন “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা?” এই প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধি বলেন, “গত বছর আমাদের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত হয়েছে, তার বড় প্রভাব পড়েছে বড় অংশের মানুষের মধ্যে, রাজনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তখন মানুষ আমায় বলেন আর একটা পূর্ব থেকে পশ্চিম যাত্রা করতে। কংগ্রেস থেকেও আমায় একই কথা বলা হয়। তাই পূর্ব থেকে পশ্চিম এই ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু হল। এই যাত্রা ন্যায়ের স্বপক্ষে। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিপক্ষে। দেশে যে অন্যায়, হিংসা, অসাম্যের রাজনীতি হচ্ছে, বিজেপি, আরএসএস-এর এটাই লক্ষ্য, তাই তার বিরুদ্ধে ন্যায়ের লক্ষ্যে মণিপুর থেকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করেছি। এই যাত্রা শেষ হবে মহারাষ্ট্রে। মণিপুর থেকে যাত্রা শুরুর কারণ, মণিপুরের মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার হয়েছ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মণিপুরে আসেননি। মণিপুরের পর নাগাল্যান্ড এসেছি। নাগাল্যান্ডেও প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা গত ৯ বছরে তিনি পূরণ করেননি। আমি চেয়েছিলাম পায়ে হেঁটে যেতে। তবে যাত্রাপথ অনেক দীর্ঘ। পায়ে হেঁটে যেতে সময় অনেক লাগবে। তাই এই যাত্রা “হাইব্রিড” যাত্রা হচ্ছে। কিছুটা হেঁটে, কিছুটা বাসে।”
‘ইন্ডিয়া’ জোট প্রসঙ্গে এদিন আশা প্রকাশ করে রাহুল গান্ধি বলেন, “ইন্ডিয়া জোটে ছোটো ছোটো বিষয়ে মত পার্থক্য আছে, তা মিটে যাবে। ইন্ডিয়া এক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে লড়বে এবং জিতবে।”
নাগাল্যান্ডে কেন্দ্রের বঞ্চনা প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধি বলেন, “আমি কয়েক জন নাগা নেতার সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁরা বলেছেন, কোনও উন্নয়ন সেখানে হয়নি। নাগা সংগঠনের নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী কি করতে চান। নাগারা চান কথা বলতে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আগ্রহী নন। তিনি কেন আগ্রহী নন সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অধিকারী আমি নই।”
❤ Support Us