- প্রচ্ছদ রচনা
- ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, বিরোধীতা করবে নয়াদিল্লি, আশাবাদী মার্কিন প্রশাসন
সতর্কতা জারি করল ভারতীয় দূতাবাস, যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘিরে ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ কেন্দ্রের
ইউক্রেন সীমান্তে সেনা অভিযান প্রত্যাহার করেনি রাশিয়া । পুতিন প্রশাসনের এই দাবি সত্য নয় বলে মনে করে মার্কিন প্রশাসন। অন্যদিকে রাশিয়ার এই সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলিকেই সমর্থন করবে নয়া দিল্লি । এ বিষয়ে আশাবাদী বাইডেন প্ৰশাসন । এ প্রসঙ্গে, মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত একটি চতুর্দেশীয় বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে ঘিরে ওই বৈঠকে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে তাঁদের । উল্লেক্ষ মেলবোর্নের ওই বৈঠকে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অংশগ্রহণ করেছিল অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান ।
বিশ্বের ছোট দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা বিষয়ে যে আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী, তা সমর্থন করে ভারত। ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক মহড়া চালিয়ে সেই নিয়মকে লঙ্ঘন করছে পুতিন প্রশাসন । তাই নয়াদিল্লি এই রুশ নীতির বিরোধিতা করবে বলেই মনে করে আমেরিকা । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে সে দেশের মুখপাত্র নেড প্রাইস একথা জানিয়েছেন । এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ছোট দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে যে আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী তা মেনে চলার ক্ষেত্রে ইউরোপ সহ পশ্চিমের দেশগুলো যেভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, একই ভাবে ভারত এবং প্রশান্তমহাসাগর তীরবর্তী দেশগুলোও সেই আইন লঙ্ঘন না করার বিষয়ে একমত । মার্কিন মুখপত্র নেড প্রাইস আরও বলেছেন, এই নীতি অনুসারে কোনো দেশ বলপূর্বক নিজের দেশের সীমানা বাড়িয়ে নিতে পারে না । এ প্রসঙ্গে, ১৬জুন ২০২০ তে ভারত সীমান্তে চিনা সামরিক আগ্রাসনের উল্লেখ করেন তিনি । যদিও ভারতীয় এবং মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে, ২০১৭ সালে মার্কিন সনদে পাশ করা আইন সিএএটিএসএ নিয়ে সেই বৈঠকে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি ।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন মুখপত্র বলেছেন, পুতিন প্রশাসন যতই দাবি করুন, ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা কোনও অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে না, এটি একটি সাধারণ সেনা মহড়া , তা সত্য নয় । রুশ প্রশাসন সেনা প্রত্যাহার করেনি, বরং আরও সাত হাজার নতুন সেনা মোতায়েন করেছে । ফলে যুদ্ধ প্রস্তুতি তুঙ্গে। পুতিন প্রশাসন, ডোনাবাসে ইউক্রেন সেনা অভিযান এবং গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে তার কোন ভিত্তি নেই, এর সঙ্গে ন্যাটো এবং ইউক্রেন সেনার যৌথ অভিযান এবং রাশিয়ান ভূখন্ডে অবৈধ অনুপ্রবেশের কথা রাশিয়া বলছে তাও সত্য নয় । পাশাপাশি আমেরিকা এবং ইউক্রেন যৌথ উদ্দ্যোগে, জৈব-রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা করছে বলে যে অভিযোগ রাশিয়া তুলছে তা ভিত্তিহীন ।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁদের বাহিনী ইউক্রেন সীমান্ত ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ঠিক কত পরিমাণ বাহিনী তারা সরাচ্ছে, তার হিসেব দেয়নি পুতিন সরকার । সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার বার্তা গত কালই দিয়েছিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু । কাল লাভরভ সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘গত ডিসেম্বরে সীমান্তে মোতায়েন সেনাদের মহড়া খুব শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে । মস্কোর তরফে আজ আরও একবার গোটা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে ।
কিভের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এক বিবৃতিতে আজ বলা হয়েছে, আপাতত কিছু দিনের জন্য বিশেষ করে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা যেন দেশে ফিরে যান । ইউক্রেনে প্রায় কুড়ি হাজার ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছেন । দূতাবাসের তরফে ভারতীয়দের ইউক্রেনে বা ইউক্রেনের অভ্যন্তরে যাতায়াতেও নিষেধ করা হয়েছে ।
সূত্র সংবাদ সংস্থা
❤ Support Us