- দে । শ মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
ভারতীয় কুস্তি সংস্থার নির্বাসন উঠল, আবার আন্দোলনে নামার হুমকি সাক্ষী মালিকের
বেশ কিছুদিন ধামাচাপা থাকার পর আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ভারতীয় কুস্তি বিতর্ক। আবার আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন অলিম্পিক পদক জয়ী সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা। তাঁদের দাবি, আন্দোলন সাময়িক বিরতি দিয়েছিলেন। আবার শুরু করবেন।
যথাসময়ে নির্বাচন করতে না পারায় গতবছর আগস্টে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনকে নির্বাসিত করেছিল বিশ্ব কুস্তি সংস্থা। বুধবার সেই নির্বাসন তুলে নিয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি শর্ত চাপিয়েছে। শর্তের মধ্যে রয়েছে ভারতের কুস্তি সংস্থাকে অ্যাথলিট কমিশনের নির্বাচন করতে হবে। ৪ বছরের মধ্যে অবসর নেওয়া ক্রীড়াবিদরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। এছাড়া জাতীয় ফেডারেশনকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক এবং ভিনেশ ফোগাটের বিরুদ্ধে কোনও বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। অলিম্পিক ট্রায়াল, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় কোনও কুস্তিগিরকে বঞ্চনা করা যাবে না।
সাক্ষীর দাবি, বিশ্ব কুস্তি সংস্থাকে প্রভাবিত করে, ভুল তথ্য দিয়ে নির্বাসন প্রত্যাহার করানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে, সাসপেনশন প্রত্যাহার করার জন্য বিশ্ব কুস্তি সংস্থার সঙ্গে সেটিং করেছেন সঞ্জয় সিং। ওরা যেমন দেশের সরকারকে প্রভাবিত করেন, তেমনই বিশ্ব কুস্তি সংস্থাকেও প্রভাবিত করেছেন। এর থেকেই প্রমাণিত, ওদের হাত কতটা লম্বা। । ব্রিজ ভূষণ এবং সঞ্জয় সিংরা যে আইনের ঊর্ধ্বে তা দেখানোর জন্য কোনও কসরত বাকি রাখেনি। দুর্ভাগ্য, সরকার ওদের বাঁচানোর জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের আবার রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই।’
কুস্তি থেকে অবসর নিলেও লড়াই থেকে সরে আসছেন না সাক্ষী। তিনি বলেন, ‘আমি খেলা থেকে অবসর নিয়েছি ঠিকই, কিন্তু আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি না। আমাদের প্রতিবাদ শুধুমাত্র স্থগিত করা হয়েছে। ব্রিজ ভূষণ বা তার লোকেরা ফেডারেশন চালাচ্ছে। মাত্র ২–৩ দিন আগে ব্রিজ ভূষণের ছেলে উত্তরপ্রদেশ রেসলিং বডির সভাপতি হয়েছেন। যদিও তিনি বলেছিলেন যে তাঁর পরিবারের কেউ কুস্তি প্রশাসনে আসবে না। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে ব্রিজ ভূষণ বা তাঁর আত্মীয় বা সহযোগী কেউ আসবে না। অথচ তাঁরাই প্রশাসন চালাচ্ছে। আমরা সহ্য করব না। আমরা কী করব, কয়েক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাব।’
❤ Support Us