Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ২৭, ২০২৫

রাজ্যে প্রায় ১.২৫ কোটি আধার ‘নিষ্ক্রিয়’। পড়ুয়াদের জন্য নতুন নিয়ম ! আধার আপডেট না থাকলে মিলবে না সরকারি সুবিধা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রাজ্যে প্রায় ১.২৫ কোটি আধার ‘নিষ্ক্রিয়’। পড়ুয়াদের জন্য নতুন নিয়ম ! আধার আপডেট না থাকলে মিলবে না সরকারি সুবিধা

বর্তমান সময়ে সব ক্ষেত্রেই আধারকার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। আধারের তথ্য না দিয়ে কোনো পরিষেবাই পাওয়া যায় না। সরকারি প্রকল্প থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, রেশন থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা সর্বক্ষেত্রেই লাগে আধার। একই নিয়ম খাটে পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা, স্কলারশিপ পেতে প্রয়োজন আধার কার্ডের। শিক্ষার্থীদের পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য নির্ভুল করতে এবার বড়োসড়ো পদক্ষেপ নিইয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। এবার স্কুল পড়ুয়াদের আধার কার্ড আপডেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি আধার কর্তৃপক্ষ বা ইউআইডিএআই-এর রিপোর্টে উঠে এসেছে, রাজ্যে প্রায় ১.২৫ কোটি শিশু ও কিশোর, যাঁদের বয়স ৫-১৫ বছরের মধ্যে, তাঁদের আধারে বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক আপডেট করা নেই, ফলে তাঁরা কোন জায়গাতেই কার্ড ব্যবহার করতে পারবে না। ইউআইডিএআই ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এমবিইউ সম্পন্ন না করলে আধারকার্ডগুলি নিষ্ক্রিয় হতে পারে। প্রথম আপডেট এমবিইউ-১ যা ৭ বছর বয়সের মধ্যে করতে হয় এবং দ্বিতীয় আপডেট ১৭ বছর বয়সের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। আধার নিষ্ক্রিয় হলে পড়ুয়াদের সরকারি সুবিধা, বৃত্তি ছাড়াও নিট, জেইই, কুয়েট -সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আবেদন করতে সমস্যা হতে পারে। এ তথ্য আসতেই সমস্যা সমাধানে তৎপর হয়েছে শিক্ষদফতর। এই আপডেট প্রক্রিয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট স্কুল এবং জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের উপরেই থাকবে এবং এই কাজ একদম বিনামূল্যে করা যাবে। আধারের সঙ্গে ফোন নাম্বার লিংক করতে হলে অবশ্য নির্ধারিত অর্থ দিতে হবে ছাত্রদের।

ইউআইডিএআই-এর তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ১.২৫ কোট এমবিইউ প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে, যার মধ্যে ৪২.১৯ লাখ ৫-৭ বছর বয়সী শিশু ও ১৫-১৭ বছর বয়সীদের জন্য ৮৩.০৪ লাখ আপডেট বাকি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর, জেলা স্তরের স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দিয়েছে যাতে তাঁরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করেন। এখন থেকে প্রতিটি স্কুলকে তাদের ছাত্রদের আধার কার্ড আপডেট করানোর দায়িত্ব নিতে হবে এবং বিদ্যালয় জেলা পরিদর্শকদেরও তত্ত্বাবধানের কাজ করতে হবে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ-এ শিক্ষায় যেন কোনরকম সমস্যা না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। জেলা কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত আধার কেন্দ্রগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে অভিভাবকরা গিয়ে তাদের সন্তানের আধার আপডেট করতে পারবেন।

এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা কমিশনার অরূপ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, এই গোটা বিষয়টি ভালোভাবে বোঝানো জন্য শিক্ষাদফতর একটি নয়া উদ্যোগ নিয়েছে। তারা যে নির্দেশিকা পেশ করেছে তাতে একটি কিউআর কোড যুক্ত করা হয়েছে। যেটি স্ক্যান করলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকরা ইউআইডিএআই থেকে প্রকাশিত হিন্দি ও বাঙাল ভাষায় নির্দেশিকা ভিডিও দেখতে পাবেন। সেখানে আধার আপডেট সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় বিস্তারিত ভাবে দেখানো হয়েছে।’ তিনি আরো জানিয়েছেন, স্কুল ছাড়াও, আধার কর্তৃপক্ষের অধীনসস্ত যে কোন রেজিস্ট্রার বা এনরোলমেন্ট এজেন্সি, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এই কাজ করা যাবে। দ্রুত কাজ শেষ করতে ব্লকগুলিকে ৬৯০টি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতী দেওয়া হবে। এর আগেও বিভিন্ন ব্লকগুলিকে এনরোলমেন্ট কিট দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ৩৪ টি এখনও সচল রয়েছে। আধার কতৃপক্ষ এই কাজের জন্য ৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা অতীতে খরচ করেছে। এই উদ্যোগের প্রতি সহমত জানিয়েছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘এখন সরকারি যে কোনও সুযোগ সুবিধা পেতে হলে আধার থাকা বাধ্যতামূলক। আর আমাদের রাজ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা যে হেতু প্রায় সবাই কোনো না কোনো ভাবে উপভোক্তা তাই সে ক্ষেত্রে তাদের আধার কার্ড থাকতেই হবে।’ রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর আশা করছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা সময়মতো তাঁদের বায়োমেট্রিক আপডেট সম্পন্ন করলে, ভিবস্যতে আধার সংক্রান্ত কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হবেন না।


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!