Advertisement
  • দে । শ
  • মার্চ ২০, ২০২৫

মন্দিরে অন্ত্যজদের প্রবেশাধিকার চেয় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রবিদাসীয়া মহাসঙ্ঘের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মন্দিরে অন্ত্যজদের প্রবেশাধিকার চেয় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রবিদাসীয়া মহাসঙ্ঘের

ফাইল চিত্র

অন্ত্যজ সম্প্রদায়ের পুজো দেওয়ার দাবি মান্যতা পেয়েছে কাটোয়ার গীধগ্রামের তিনশ বছরের পুরনো গীধেশ্বর শিবমন্দিরে। মহকুমার অন্যান্য যেসব মন্দিরে প্রবেশ বা পুজো দেওয়ার অধিকার নেই, এবার সেইসব মন্দিরে যাতে ঢোকা ও পুজো দেওয়ার অধিকার মেলে, তার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি পাঠাল রবিদাসীয়া মহাসঙ্ঘ নামে একটি সংগঠন। মহকুমা-সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার কোন কোন মন্দিরে অন্ত্যজদের প্রবেশাধিকার মেলে না, তার একটা তালিকাও দিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রামপ্রসাদ দাসের দাবি, ‘শুধু কাটোয়া কেন, রাজ্যের যেসব মন্দিরে আমাদের সম্প্রদায়ের প্রবেশ ও পুজো দেওয়ার অধিকার নেই, সেইসব মন্দিরে সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সংবিধানকে সম্মান জানানো হোক।’

শিবরাত্রির সময় কাটোয়ার গীধগ্রামের গীধেশ্বর মন্দিরে শিবের মাথায় জল দিতে গেলে গ্রামের অন্ত্যজ দাস সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাধা দেওয়ার ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ পিকেট বসাতে হয়। শুরু হয় দফায় দফায় আলোচনা। শেষ পর্যন্ত কাটোয়ার মহকুমাশাসক অহিনসা জৈনের পৌরোহিত্যে আয়োজিত বৈঠকে জট কাটে। পুজো দেওয়ার অধিকার পান দাস সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। কাটোয়ার মহকুমাশাসক অহিনসা জৈন বলেন, ‘গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দাসপাড়ার বাসিন্দারা পুজো দিয়েছেন।’ পুজো দেওয়ার অধিকার পেয়ে খুশি সন্তোষ দাস, মণিমালা দাসরা বলছিলেন, ‘প্রশাসন আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়েছে, তারজন্য কৃতজ্ঞতা। কিন্তু এখানকার সবথেকে বড় উৎসব হয় গাজনে। তখনও যাতে আমরা পুজো দিতে পারি, তার নিশ্চয়তা দিক পুলিশ-প্রশাসন।’ তবে মহকুমার যেসব মন্দিরে অন্ত্যজ সম্প্রদায়ের পা রাখা বা পুজো দেওয়ার অধিকার নেই, সেইসব জায়গায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অধিকার বলবৎ হলেও তা টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বহু বাসিন্দা। তাঁদের প্রশ্ন, ‘দীর্ঘদিনের পরম্পরা এত সহজে ভাঙবে কি?’

উল্লেখ্য যে, একটা সময় কেরালার শবরীমালা মন্দির ও মহারাষ্ট্রের শিঙ্গনাপুর মন্দিরে নারীর প্রবেশাধিকার ছিল না। আদালতের হস্তক্ষেপে সেই অধিকার মেলে। ওড়িশার বিভিন্ন মন্দিরে এখনও অহিন্দুরা ঢুকতে পারেন না। কয়েকবছর আগে উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের একটি মন্দিরে ঢোকার ‘অপরাধে’ এক দলিত বৃদ্ধকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, উত্তরকাশীতে একই ‘অপরাধে’ এক যুবককে বেধড়ক ঠ্যাঙানো হয়। একবিংশ শতকে কাটোয়ার গীধগ্রামের গীধেশ্বর শিবমন্দিরে দাস (চর্মকার) সম্প্রদায়ের প্রবেশে বাধাদানের ঘটনা সামনে আসার পর তৎপর পুলিশ, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সদর্থক পদক্ষেপে দ্রুত মীমাংসা হল।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!