- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- মার্চ ২১, ২০২৫
দুই সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ে বিধ্বস্ত সুদান। রাষ্ট্রপতি ভবন পুনর্দখল করে উল্লাস সুদান সেনার

উত্তর আফ্রিকার গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশ সুদান। সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে বিগত ২ বছর ধরে যুদ্ধ চলছে। ২০২৩ সালে দেশটির রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের ব্যাপক গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেনাপ্রধানের বাসভবন, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দখল করে আরএফএফ। সেনাবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। এবার সুদানের সেনা তাঁদের কাছ থেকে প্রেসিডেন্ট ভবন পুনঃদখল করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একাধিক ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিজয়ে খুশি সেনারা বন্দুক উঁচিয়ে উল্লাস করছেন, চিৎকার করছেন আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন। এই ঘটনাকে সুদানের গৃহযুদ্ধে সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য জয় বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এক সূচনার পথে এগোচ্ছে উত্তর আফ্রিকার দেশটি?
সে দেশের সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সেনা ও আরএসএফের মধ্যে প্রায় ২ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পরে সুদানি সেনা খারতুমে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদটি পুনরুদ্ধার করেছে। সেনাবাহিনী আরেকবার খারতুমের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রস্তুত। প্যারামিলিটারি গ্রুপ এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, সেনারা রাষ্ট্রপতি ভবন ও খারতুমের কেন্দ্রস্থলে মন্ত্রিপরিষদ ভবনগুলি দখল করেছে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনী শত্রুরপক্ষকে নিকেশ করেছে, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রীর দখল নিয়েছে। সম্পূর্ণ বিজয় না আসা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম জারি থাকবে।’
গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত খারতুমে গত ২ বছরে লাগাতার দুই বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়ে চলেছে, প্রথম দিকে সেনাবাহিনী পিছিয়ে থাকলেও, ২০২৪ সালের শেষ থেকে তাঁরা আবার পুনরাই শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছিল। অন্যদিকে আরএসএফ শুরু থেকেই খারতুম ও পশ্চিম সুদানে অধিকাংশ অঞ্চল দখল করে রেখেছিল। গত কয়েক সপ্তাহে সেনাবাহিনী সুদানের বেশকিছু অংশে নিজেদের দখল পুনঃপ্রতিষ্ঠিতা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রিপাবলিকান প্রাসাদের কাছে ড্রোন হামলা হয়। বিমান হামলার খবরও পাওয়া যাচ্ছিল। গত শনিবার, আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান ডাগালো, যিনি হেমেদতি নামে পরিচিত, একটি ভিডিও রেকর্ডিংয়ে বলেন– তাঁর বাহিনী প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও আশেপাশের অঞ্চল রক্ষা করবে। তিনি বেশ কয়েকটি উত্তরাঞ্চলীয় শহরে নতুন করে আক্রমণের হুমকি দিয়েছিলেন। সুদানের গৃহযুদ্ধ থামাতে বিভিন্ন শান্তি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনীগুলি কৌশলগত অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমঝোতা আসতে চায় নি। জাতিসংঘের মতে, এই যুদ্ধ পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো মানবিক সংকট। আরএসএফ আর সেনাবাহিনী উভয়কেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত।
❤ Support Us