- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ৮, ২০২৪
বিলকিস বানো মামলায় বড় ধাক্কা খেল গুজরাট সরকার। ১১ ধর্ষককে মুক্তির সিদ্ধান্ত খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
বিলকিস বানো মামলায় শীর্ষ আদালতে বড় ধাক্কা খেল গুজরাট সরকার। মেয়াদ শেষের আগে ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট, ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি সিদ্ধান্ত দিয়েছিল গুজরাট সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিন বীরের সম্মানে ধর্ষকদের বরণ করা হয়েছিল জেলমুক্তির পর। এই ঘটনায় সারা দেশ জুড়ে সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। সোমবার গুজরাট সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে মুক্তি পাওয়া ১১ জন ধর্ষককে আবার ফিরে যেতে হবে আদালতে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে বিলকিস বানোর তরফে ১১ জনের সাজা মুকুবকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনটি রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য। গুজরাট রাজ্য সরকার এই ক্ষেত্রে সাজা মুকুবের আদেশ দেওয়ার জন্য কোনও ভাবেই যোগ্য নয়। বিচারপতি বি ভি নাগারথনা এবং উজ্জল ভূঁইয়ার একটি বেঞ্চ ১২ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে বিলকিস বানোর দায়ের করা পিটিশনের উপর তার রায় সংরক্ষণ করেছিল।
VIDEO | “It is a very good judgement which has upheld the Rule of Law and the faith of the people of this country, particularly the women, in the legal system, the courts, and that there is an assurance for justice,” says advocate Vrinda Grover on Supreme Court directing 11… pic.twitter.com/WFjYY2k4Lk
— Press Trust of India (@PTI_News) January 8, 2024
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানো, তাঁর পরিবারের সব সদস্যকে খুন করা হয়েছিল। ২০২২ সালের নভেম্বরে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ১১ জনকে অকাল মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। তখন গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজেই আদালতে গিয়েছিলেন বিলকিস বানো, তিনি তখন আদালতে দাবি করেছিলেন যে এই সিদ্ধান্ত “সবচেয়ে ভয়ঙ্কর।”
শীর্ষ আদালত বলেছিল, ২০২২ সালে গুজরাট সরকার ঠিক সিক্লোস্টাইল পদ্ধতিতে এই সাজা মুকুব করেছে। বিলকিস বানো দোষী সাব্যস্তদের সাজা মুকুবকে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন। তবে বিলকিস বানোর দায়ের করা পিটিশন ছাড়াও, সিপিআই (এম) নেত্রী সুভাষিনী আলি, স্বাধীন সাংবাদিক রেবতী লাউল এবং লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপ রেখা ভার্মা সহ আরও বেশ কয়েকটি পিআইএল এই ১১ জন দোষীর মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রও ১১ জন দোষীকে অকাল মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।
বিলকিস বানোর যখন ২১ বছর বয়েস, তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন গুজরাটের গোধরায় ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনার পরে শুরু হওয়া গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয়াবহতা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি ধর্ষণের শিকার হন। দাঙ্গায় নিহত পরিবারের সাত সদস্যের মধ্যে তাঁর তিন বছরের মেয়েও ছিল। এই গণধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ দোষীকে গুজরাট সরকার ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট মমুক্তি দিয়ে দেয়। গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই সময় সারা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। অবশেষে দেশের শীর্ষ আদালত এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করল।
❤ Support Us