Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জানুয়ারি ২০, ২০২৪

মানহানির মামলায় লিখিত বিবৃতি দাখিলে বিলম্ব, রাহুল গান্ধিকে জরিমানা করল আদালত

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মানহানির মামলায় লিখিত বিবৃতি দাখিলে  বিলম্ব, রাহুল গান্ধিকে জরিমানা করল আদালত

সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যার সাথে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘকে যুক্ত করার জন্য এক আরএসএস কর্মী কর্তৃক দায়ের করা মানহানির মামলায় লিখিত বিবৃতি দাখিল করতে বিলম্বের জন্য কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে ৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ করেছে থানে আদালত।

লিখিত বিবৃতি দাখিল করতে রাহুল গান্ধির ৮৮১ দিন বিলম্ব হয়েছিল, তবে এই বিলম্বের জন্য তাঁর আইনজীবী নারায়ণ আইয়ার ক্ষমা চেয়ে আদালতে একটি আবেদন করেছিলেন।

ওই আবেদনে আইনজীবী আইয়ার লেখেন, তাঁর মক্কেল দিল্লিতে থাকেন, একজন সাংসদ হওয়ার কারণে তিনি ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করেন, যার ফলে বিলম্ব হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই বিলম্বকে ক্ষমা করে এবং লিখিত বিবৃতি গ্রহণ করে, তবে ৫০০ টাকা জরিমানাও পাশাপাশি আরোপ করেছে কংগ্রেস সাংসদের আইনজীবী সংবাদ মাধ্যমকে জানান।

রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি আরএসএস কর্মী বিবেক চম্পানেরকার দায়ের করেছেন, কংগ্রেস নেতার কাছ থেকে এক টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।

শুক্রবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি দাবি করেছেন, বিজেপি এবং আরএসএস দিল্লি থেকে দেশ পরিচালনার কেন্দ্রীভূত ধারণাকে কার্যকর করছে। অন্যদিকে কংগ্রেস ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে বিশ্বাসী, তাই স্থানীয় শাসনকে সমর্থন করে এবং সমস্ত রাজ্য ও অঞ্চলকে সমান গুরুত্ব দেয়।

ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার দ্বিতীয় দিনে অসমের লখিমপুর জেলার গোগামুখে একটি জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধি বলেন যে তাঁর দল একমাত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হিসাবে কেন্দ্রকে মান্যতা দেয় না।

রাহুল গান্ধি বলেন, “বিজেপি এবং আরএসএস বিশ্বাস করে যে হিন্দুস্তানকে দিল্লি থেকে শাসন করা উচিত, একটি ভাষা এবং একজন নেতা দিয়ে, আমরা এই ধারণার সঙ্গে একমত নই। অসম দিল্লি থেকে শাসিত হবে না; অসম থেকেই শাসিত হবে।”

কংগ্রেস সমস্ত রাজ্যকে সমানভাবে মূল্যায়ন করে বলে মন্তব্য করে রাহুল গান্ধি বলেন যে এই কারণেই তিনি পূর্বের মণিপুর থেকে পশ্চিমে মুম্বাই পর্যন্ত এই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করেছেন।

রাহুল গান্ধি বলেন, “আমরা মণিপুরকে বেছে নিয়েছি কারণ আমরা সবাইকে এই বার্তা দিতে চেয়েছিলাম যে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ইতিহাস, ভাষা এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা অন্য যে কোনও জায়গার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।”

অশান্ত মণিপুরে না আাসার জন্য রাহুল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কটাক্ষ করে বলেন, মণিপুর রাজ্যটি গত বছরের মে মাস থেকে জাতিগত সহিংসতার কারণে অশান্ত হয়ে রয়েছে।

“ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, একটি রাজ্যে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে মণিপুরে সহিংসতা চলছে, ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, সম্পত্তি পোড়ানো হচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একবারের জন্যও মণিপুরে আসেননি। তিনি সেখানে যেতে পারবেন না কারণ তাহলে বিজেপির রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রকাশ হয়ে যাবে।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!