Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ৩, ২০২২

কৃষ্ণসাগর বন্দরে আটকে পড়া জাহাজে রাশিয়ার রকেট হামলা! হত বাংলাদেশের নাবিক।

জানা গিয়েছে, বুধবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ জাহাজটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কৃষ্ণসাগর বন্দরে আটকে পড়া জাহাজে রাশিয়ার রকেট হামলা! হত বাংলাদেশের নাবিক।

জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান ।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আক্রমণ অব্যাহত । সেনা, সাধারণ মানুষের মৃত্যুমিছিল চলছে। ইতিমধ্যেই ভারতের দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর খবরের পর এবার বাংলাদেশের এক নাবিকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, অলভিয়া বন্দরে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর ফলে ওই জাহাজের এক নাবিক নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশি ওই নাবিকের নাম হাদিসুর রহমান। তিনি জাহাজটিতে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বাংলাদেশের নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিবিসিকে জানিয়েছেন, কৃষ্ণ সাগরের অলভিয়া বন্দরে এই জাহাজটিতে রকেট হামলা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি । হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা গেছেন । বাংলার সমৃদ্ধি নামের এই জাহাজটি ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেখানে আটকে পড়ে।খালিদ মাহমুদ চৌধুরি বলেছেন, জাহাজের বাকী ২৮ জন ক্রুর সবাই অক্ষত আছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি এবং তাঁরা এখন জাহাজেই আছেন।জাহাজের ক্যাপ্টেনকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে, তাঁরা জাহাজে থাকবেন, নাকি বেরিয়ে যাবেন। জাহাজ থেকে বেরিয়ে গেলে খাদ্য সংকট এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে , সেজন্যে আপাতত জাহাজেই তাঁরা থাকছেন বলে জানা গেছে।

দুদিন আগে জাহাজের একজন নাবিক বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেশে ফিরে আসার জন্য নিবেদন জানিয়েছিলেন। গত ২৬শে জানুয়ারি এটি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে যাত্রা করে এবং তুরস্কের ইরেগলি হয়ে ২২শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছায় । জাহাজটি বন্দরে পৌঁছানোর পরদিন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হয় । জাহাজটি ইউক্রেন থেকে সিরামিক ক্লে নিয়ে ইতালির রেভেনা বন্দরে যাবার কথা ছিল।জাহাজটিতে অন্তত ২৫ দিনের রসদ মজুত আছে। খাদ্য কিংবা জ্বালানির কোন সমস্যা হবে না। ইউক্রেনের পরামর্শেই জাহাজটি নোঙর করে আছে অলভিয়া বন্দরে। মূলত নিরাপত্তার জন্যই ইউক্রেন জাহাজটি বন্দর ত্যাগের ছাড়পত্র দিচ্ছে না।
কুর্দস গ্লোবাল নামের এক ফেসবুক পেজে একটি জাহাজে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, একটি রকেট আঘাত হানার পর ৩৬৩ নম্বর অ্যাঙ্করেজে থাকা বাংলাদেশের ‘সমৃদ্ধি’তে আগুন ধরে যায়। পরে বন্দর থেকে দুটি টাগবোট পাঠানো হয় সেখানে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!