- প্রচ্ছদ রচনা
- মার্চ ১৭, ২০২২
১৫ মার্চ হোক ইসলামোফোবিয়া দিবস! রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তান-এর দাবির তীব্র বিরোধিতা ভারতের
রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে এ ধরণের প্রস্তাবকে নিউদিল্লি যে মান্যতা দেবে না, তা এদিন সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি ।

ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস’ উদযাপনের প্রস্তাব পাশ হল রাষ্ট্রসংঘে । এবার থেকে প্রতি বছর ১৫ মার্চ ওই দিনটি পালিত হবে বলে খবর । রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ বৈঠকে ১৯৩ জন সদস্যের সামনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মুনির আক্রম এই প্রস্তাব রেখেছিলেন । একাধিক ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশ ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করে।যদিও ভারত এবং ফ্রান্স প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে।
ভারতের তরফে জানানো হয়, যে কোনও ধর্মের প্রতিই মানুষের ভয় কাজ করে। শুধুমাত্র একটি ধর্মের ক্ষেত্রে সীমিত থাকে না ওই বিষয়টি। একাধিক ধর্মের ক্ষেত্রে একই জিনিস ঘটে। শুধুমাত্র একটি ফোবিয়া -কে মান্যতা দেওয়া এবং বাকিগুলিকে না দেওয়া সঠিক নয়। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি প্রস্তাব রাখেন যাতে ইসলামোফোবিয় -র পরিবর্তে রিলিজোফোবিয়া ডে উদযাপন করা হয়।
এম্বাসাডার অফ ইন্ডিয়ার দাবি, শুধুমাত্র আব্রাহামিক বিশ্বাস নয়, বিশ্বের সব ধরনের মানুষকেই ওই ফোবিয়ার সম্মুখীন হতে হয়। সনাতন ধর্মের উপরেও যে আঘাত হানা হয় তা নিয়ে সোচ্চার হয় ভারত। বামিয়ান -এ বুদ্ধমূর্তি ভাঙা, আফগানিস্তান- এ মন্দির কিংবা গুরুদ্বার ভেঙে ফেলার মতো ঘটনার কথা তুলে ধরেন তিনি। মনে করিয়ে দেন, তালিবান রাজ শুরু হওয়ার সময় শিখদের হত্যা ও অত্যাচারের যে ঘটনা ঘটেছিল তা মনে করিয়ে দেন তিনি।তাঁর কথায়, ‘যাঁরা মূর্তিপুজো করে তাঁদের উপরেও যথেষ্ট অত্যাচার চালানো হয়। তাঁদের প্রতিও ঘৃনা দেখানো হয়। তাঁদেরও ভয় পান অনেকেই। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধদের উপর সাম্প্রতিককালে অত্যাচার বেড়েই চলেছে তার উদাহরণ তো রয়েছেই।’ইসলামোফোবিয়া প্রসঙ্গে ভারতের সতর্কবার্তা, ওই ধরনের ভয়কে মান্যতা দিলে রাষ্ট্রসংঘ দুটি ক্যাম্পে বিভক্ত হয়ে যাবে। পরবর্তীতে বাকিরাও নিজেদের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে একই প্রস্তাব রাখতে পারেন, এ কথাও বলা হয়।
ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘একটি ধর্মের প্রতি মানুষের ফোবিয়া নিয়ে এত আলোচনা চলছে। আমরা সকলে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক দিবস পালনের কথা বলছি। এরই মাঝে বাকি ধর্মগুলিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এই প্রস্তাব আনার মাধ্যমে বাকি ধর্মের প্রতি অনেকের মনে যে ভয় কাজ করে তাকে খাঁটো করে দেওয়া হবে।’
রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি ভয় নিয়ে ওঠা কোনও প্রস্তাবকে যে ভারত মেনে নেবে না সে কথাও জানিয়ে দেওয়া হয় এদিন। সাফ বলা হয়, এই ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে শান্তি এবং সৌহার্দ্য নষ্ট হতে পারে। জাতিসংঘ ধর্মীয় বিষয়গুলির ঊর্ধ্বে দাঁড়িয়ে শান্তি ও সম্প্রীতির একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিশ্বকে এক পরিবার হিসাবে বিবেচনা হয়।
❤ Support Us