Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • মার্চ ১৩, ২০২৫

গাজায় ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড, যৌন হিংসা’ চালিয়েছে ইজরায়েল, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উদ্বেগ । পক্ষপাতদুষ্ট, ভিত্তিহীন রিপোর্ট, দাবি নেতানিয়াহু প্রশাসনের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
গাজায় ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড, যৌন হিংসা’ চালিয়েছে ইজরায়েল, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উদ্বেগ । পক্ষপাতদুষ্ট, ভিত্তিহীন রিপোর্ট, দাবি নেতানিয়াহু প্রশাসনের

ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংঘাতে ইজরায়েল পরিকল্পিতভাবে গাজার নারীদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধংস করে,’গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ চালিয়েছে। যুদ্ধ কৌশল হিসেবে যৌন সহিংসতার ব্যবহার হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক নতুন প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। সেখানে ইজরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি এই প্রতিবেদনের অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন, পক্ষপাতদুষ্ট আর বিশ্বাসযোগ্যহীন বলে মন্তব্য করেছে। জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, ‘ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের প্রজনন ক্ষমতা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে, বহু ক্ষেত্রে জন্ম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া রয়েছে। এটি রোম স্ট্যাটিউট ও গণহত্যা কনভেনশনের সংজ্ঞা অনুসারে গণহত্যার একটি ধরন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জামের সীমিত প্রবেশাধিকার, হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রাখবার কারণে প্রসূতি মৃত্যুর হার ভয়াবহবাবে ব্যাপকভাবে বেড়েছে, যা ‘গণহত্যা’র অপরাধের শামিল। আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ হামলার হামাসের হামলার পর ইজরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী, ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দিতে জোরপূর্বক প্রকাশ্যে কাপড় খুলতে বাধ্য করা ও যৌন নির্যাতনের মতো কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও রিপোর্টের অভিযোগ মানতে নারাজ জেরুজালেম। জাতিসংঘে ইজরায়েলের স্থায়ী মিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ রাষ্ট্রের স্পষ্ট নির্দেশনা আর নীতি অনুসরণ করে চলে। এ ধরনের আচরণ তাঁদের কাছে নিষিদ্ধ। সেনাবাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া ও মান বজায় রাখা হয়।

এর আগে, ২০২৪ সালের জুনে প্রকাশিত কমিশনের আরেকটি প্রতিবেদনে হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অক্টোবর ৭, ২০২৩ হামলার সময় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছিল, যার মধ্যে নির্যাতন ও অবমাননাকর আচরণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইজরায়েল ‘গণহত্যা কনভেনশন’-এর সদস্য রাষ্ট্র। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত তাদেরকে অক্টোবর ৭ এর আক্রমণের প্রেক্ষিতে হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুমতি দেয়। তবে, ইজরায়েল রোম স্ট্যাটিউটের সদস্য নয়, যার ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা পরিচালনার এখতিয়ার রাখে না। ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা গাজার ঘটনাবলীকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৪৮,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইজরায়েলি তথ্য অনুসারে, হামাস ওই হামলায় ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!