Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ৮, ২০২৩

বিশ্ব জুড়ে বিপন্ন নারী স্বাধীনতা।লিঙ্গ সাম্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের লক্ষ্য পূরণে আরো তিনশো বছর অপেক্ষা করতে হবে, রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের কণ্ঠে উদ্বেগের সুর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিশ্ব জুড়ে বিপন্ন নারী স্বাধীনতা।লিঙ্গ সাম্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের লক্ষ্য পূরণে আরো তিনশো বছর অপেক্ষা করতে হবে, রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের কণ্ঠে উদ্বেগের সুর

বিশ্বব্যাপী মেয়েদের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ।  সোমবার নারী দিবসের প্রাক্কালে মহাসচিব  অ্যাণ্টোনিও গুয়েট্রেস জানান, লিঙ্গ সাম্য প্রতিষ্ঠার লড়াই ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে পড়ছে।  বর্তমান যা অবস্থা তাতে ঘোষিত লক্ষ্য পূরণে আরো তিনশো বছর অপেক্ষা করতে হবে। বিশ্ব জুড়ে মেয়েদের অধিকার খর্ব করবার একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের মন্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন  বিশেষজ্ঞরা।

গুয়েট্রেসের বক্তব্যে উঠে এসেছে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মেয়েদের বিপন্নতার কথা।  বিশেষত, তিনি আফগানিস্তানের মেয়েদের ওপর হয়ে চলা নারকীয় নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছেন। সমগ্র  জনপরিসর থেকে তাদের স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করা, পড়াশোনার করার অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বহু দেশ রয়েছে যেখানে মেয়েদের  নিজের পছন্দ মাফিক  সঙ্গী নির্বাচনের অধিকার নেই। নেই সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে নিজের স্বাধীন  সিদ্ধান্ত নেওয়ার। বাড়ছে প্রসূতিকালীন মৃত্যুর সংখ্যা। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী  প্রতি দু মিনিটে  একজন করে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ।  এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে  মেয়েরা পাচার আর শারীরিক মানসিক  নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এরকম  ভয়াবহ পরিস্থিতিতে লিঙ্গ সমতার লক্ষ্য পূরণ সম্ভব কীভাবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মহাসচিব।

মহাসচিবের বক্তব্য থেকে বাদ যায়নি মেয়েদের শিক্ষার প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, অতিমারিকালে প্রচুর  স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী পরিবারের আর্থিক  দুরবস্থার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। অল্প বয়সে বিবাহ হয়ে গেছে এমন মেয়ের  সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেক মায়েরাই সামান্য কিছু  মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বের সমস্ত দেশের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে  ডিজিটাল পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  যা ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মেয়েদের দুরবস্থার কথা জানা সম্ভব হবে। মহাসচিব জানিয়েছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে মেয়েদের অবদানকে স্মরণ করাটা তাদের ওপর দয়াদাক্ষিণ্য করা নয়। বরং  একটা দায়িত্ব যা সকলের পালন করবার ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। কারণ মেয়েদের অগ্রগতি সমগ্র মানবসমাজের জন্য কল্যাণকর।

 

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!