- দে । শ
- জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
লক্ষ্ণৌতে প্রয়াত কলকাতার মুনাওয়ার, শোক চিৎপুরে, রায়বেরেলিতে। বিরল, দুঃসহসী প্রতিভা, ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সাহিত্য আকাদেমি পুরষ্কার
মুনাওয়ার রানার মৃত্যুতে কলকাতা শোকগ্রস্ত। শৈশব আর যৌবনের দিলগুলি তার কেটেছিল কলকাতায়। কবিতা যাপন শুরু হয়েছিল তাঁর মহানগরে। কবি এজাজ আফজল, সালিক লক্ষ্ণৌয়ির সান্নিধ্য।
পরিবহনের ব্যবসা করতেন, পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা। পারভেজ শাহিদির পর, এত জনপ্রিয় কবির উত্থান দেখেনি কলকাতার উর্দু কবিতা। অসাধারণ আবৃত্তি করতেন। খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে গোটা উপমহাদেশে। কবিতাচর্চার সঙ্গে জটিল পরিবহন ব্যবসার সাফল্য ছুঁয়েছিলেন তিনি। সারাভারতে ছড়িয়েছিল তার ব্যবসায়িক ডালপালা। সহজভাষায় লিখতেন, সমাজ ভাবনা, ব্যক্তিগত অনুভূতি, জটিল পারিপার্শ্বিকের ছবি তুলে ধরতেন সংক্ষেপে, সহজ বাক্যে। শেষের দিকে কলকাতা ছেড়ে পিতৃভূমি রায়বেরেলিতে চলে গিয়েছিলেন। ব্যবসার দায়িত্ব সামলাতেন তাঁর উত্তরসূরীরা। কবিতাচর্চা তখন তাঁর সারাক্ষণের কর্ম। ২০১৪ সালে, শাহদারা কবিতা সঙ্কলনের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরষ্কার দেওয়া হয় ফিরিয়ে দেন। ব্যক্তিপ্রেম আর সমাজ প্রেম তাঁর প্রিয় বিষয়। ব্যক্তিকে সামাজিক দ্রোহ ( বঞ্চনার পাশাপাশি বসিয়ে তার নির্মোহ সৌন্দর্য পাঠককে উপহার দিতে ভালোবাসতেন। লিখেছেন, ৫ দশক জুড়ে । অকালে ঝরে গেলেন কলকাতার চিৎপুর আর রায় বেরেলির গম্ভীর, দুঃসাহসী কন্ঠস্বর। বয়স হয়েছিল ৭১। অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন লক্ষ্ণৌর সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউটে। ওখানেই ইহলোক ছেড়ে অদৃশ্য লোকের দিকে পা বাড়ালেন জনচিত্তজয়ী কবি মনোয়ার রাণা।
❤ Support Us