মার্কিন কংগ্রেসে গোয়েন্দা রিপোর্টে স্তুতি।সীমান্তে চিন,পাকিস্তানের উসকানিতে কড়া জবাব দেবে মোদির ভারত

ভারতের সঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। ভারত-পাক এবং ভারত-চিন সীমান্তে দু’দেশের সেনার ভিতর সশস্ত্র সংঘর্ষ হতে পারে। মার্কিন কংগ্রেসে এই উদ্বেগজনক রিপোর্ট পেশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্তে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনের সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার পরে ফের বাতাবরণ অশান্ত হতে পারে বলেই মার্কিন গোয়েন্দাদের পূর্বাভাস। যদি গালওয়ানের ওই সংঘর্ষের পরে ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক শান্তি আলোচনা চলেছে কূটনৈতিক স্তরে।

মার্কিন গোয়েন্দারা জানিয়েছে, বিতর্কিত সীমান্ত এলাকাগুলিতে চিন ও ভারত দু’দেশই সেনা মোতায়েন করেছে। পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভারে শক্তিধর দুই দেশের সেনা ফের নতুন করে সংঘর্ষে জড়ালে, তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থেরও পরিপন্থী হবে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখতে চায়। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধও চালিয়ে যেতে চায়।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে সন্ত্রাসবাদীরা চ্যালেঞ্জ করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বতোভাবে এর বিরোধিতা করবে। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার শান্তি বজায় রাখা এবং সন্ত্রাসবাদকে এই এলাকাকে থেকে পুরোপুরি নির্মূল করাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য।

পাকিস্তানের হাতেও পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক খারাপের জেরে দু’দেশের সেনার মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ হতে পারে। তবে পাকিস্তানকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত কড়া জবাব দেবে বলেই দাবি করছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্ররোচনাতেই ভারত-পাক সীমান্তে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা।সেখানে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে, কোনও সমঝোতা করবে না মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার।প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, এবিষয়ে তারা আশাবাদী।

পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করে মার্কিন কংগ্রেসকে গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন, ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলিকে দীর্ঘদিন ধরেই মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। ভারত এবার প্রয়োজনে এর যোগ্য জবাব দেবে। পাক মদতেই জম্মু-কাশ্মীর বারংবার জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হচ্ছে। এর জেরেও পাক-ভারত সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার রাস্তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে, দু’দেশই যাতে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারে।