- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জুলাই ৩, ২০২৩
ওয়াগনার পর্বের পর একমঞ্চে পুতিন-জিনিপিং-মোদি। ভাবমূর্তি উদ্বারে কি তৎপর রুশ প্রধান ?
ভারত ও চিনের সঙ্গে সাংহাই কো-অর্পারেশনের বৈঠকে যোগ দেবেন রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার থেকে নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে শুরু হবে সম্মেলন। যেখানে উপস্থিত থাকবেন শি জিনপিং সহ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র প্রধানরা । যাদের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান। এবারের বৈঠকে পর্যবেক্ষক দেশ হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইরান, বেলারুশ ও মঙ্গোলিয়াকে। সমগ্র অনুষ্ঠানটিই সম্পন্ন হবে ভার্চুয়ালি।
সাংহাই কো- অর্পোরেশন গড়ে উঠেছিল মূলত রাশিয়া ও চিনের উদ্যোগে। পূর্ব এশিয়া ও ভারত মহাসাগরে পশ্চিমি শক্তিজোটের আগ্রাসন ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। এ সম্মেলন মস্কোর আছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সদ্যই শেষ হয়েছে ওয়াগনারদের ক্ষণস্থায়ী বিদ্রোহ। হতে পারে খুব স্বল্প সময়ের, কিন্তু মাত্র কয়েকদিনেই বিশ্ব রাজনীতিতে পুতিনের দাপটকে চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে দিয়েছিলেন তাঁর এক সময়ের সুপরিচিত প্রিগোজিনি। তাই এ সম্মেলন রুশ রাষ্ট্রপতির কাছে সুযোগ রয়েছে এটা প্রমাণ করার যে ক্ষণিকের অভ্যুত্থান, তাঁকে দমিয়ে দিতে পারেনি। সেই সঙ্গে এটাও বলা দরকার, পশ্চিমি শক্তিবর্গের ক্রমাগত সমালোচনার বিপরীতে নিজের বক্তব্যকেও স্বাধীনভাবে এ মঞ্চে তুলে ধরতে পারবেন তিনি। রাশিয়া যে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি থেকে কোনোমতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পরেনি তাও জানাবার সুযোগ রয়েছে তাঁর কাছে।
সাংহাই কো-অর্পোরেশন বরাবরই সীমান্ত নিরাপত্তা অন্যদেশের মাটি থেকে চালিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, মাদক পাচার ইত্যাদি ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। আফগানিস্থানে তালিবানদের ক্ষমতা দখলের পর থেকে কোণঠাসা হয়েছে সেখানকার মেয়েরা। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকাকবার সরব হয়েছে সদস্য দেশ গুলো। যদিও গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বরং সেখানে গুরুত্ব পেয়েছে খাদ্য ও জ্বালানির সুরক্ষা।
আসলে ভারত পশ্চিমি শক্তি ও চিন রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় চলতে আগ্রহী। তবে, এক্ষেত্রে রাশিয়া বা চিনের ইচ্ছা ভারতের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। রুশ বিদেশমন্ত্রক সুত্রে জানা গেছে, এই মঞ্চে রুশ বিরোধী শক্তি বিশেষ কেউ নেই। তাই আমেরিকা বা তাঁর অন্যান্য মিত্র দেশের বিরুদ্ধে স্বাধীন মত জানাতে পারবে ক্রেমলিন। চিনের উদ্দেশ্যও অনেকটা তাই। যদিও ভারতের বিদেশনীতি সম্পূর্ণ এই ভাবনার বিপরীত। স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিয়ে চলতে যায় নয়াদিল্লি। তাই ভারতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ভারত কতটা জায়গা পাবে সে নিয়ে প্রশ্ন থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
❤ Support Us






