Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • মার্চ ২৭, ২০২৫

মোদির আমান্ত্রণে ভারত সফরে আসছেন পুতিন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মোদির আমান্ত্রণে ভারত সফরে আসছেন পুতিন

ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ শুরু হবার পর, মোদির ডাকে এই প্রথম ভারতে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক তরফে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই ভারত সফরে আসবেন তিনি। গত বছর মস্কোর বৈঠকে পুতিনকে ভারতে আসবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

বিশ্বব্যাপি বাণিজ্যযুদ্ধের আবহে ভারত ও রাশিয়া নিজেদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো উন্নত করতে চাইছে। সে লক্ষ্যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শীঘ্রই ভারত সফরে আসতে চলেছেন। ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ শুরু হবার পর, এই প্রথম তার নয়াদিল্লি সফর। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রণালয়ের তরফে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, এক ভাষণে বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির ভারত সফরের প্রস্তুতি চলছে।’ লাভরভ আরো বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তাঁর তৃতীয় মেয়াদে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। এবার আমাদের পালা।’ তবে তিনি সফরের নির্দিষ্ট মাস বা তারিখ উল্লেখ করেননি।

‘রাশিয়া আর ভারত: এক নতুন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথে’ শীর্ষক এক সম্মেলনে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভরভের এই মন্তব্য করেছেন। সম্মেলনটি রাশিয়ার আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিল আয়োজন করেছিল। এই সফর ২০৩০ সালের জন্য রাষ্ট্রপতি পুতিনের ‘নতুন অর্থনৈতিক রোডম্যাপ’ তৈরি করবার জন্য গুরুত্বপুর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। ভারত ও রাশিয়া তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি করার লক্ষ্য নিয়েছে। এছাড়াও, উভয় দেশ নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য রুট উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চেন্নাই-ভ্লাদিভোস্টক সামুদ্রিক বাণিজ্য করিডোর এই লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার।

এই সপ্তাহেই লাভরভ বলেছিলেন, মস্কো তার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নীতি নতুন করে গড়তে চায়। বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করবার লক্ষ্যে দুই দেশই আগ্রহী। আমেরিকার শুল্কযুদ্ধের আবহে বিশ্বের বৃহত্তম দুই দেশ রাশিয়া ও ভারতের কৌশলগত অংশীদারিত্ব, আমেরিকার একচেটিয়া মনোভাবের বিপরীতে নতুন পথের সূচনা করতে পারে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই আমেরিকা-সহ নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি রাশিয়াকে কূটনৈতিক দুনিয়ায় একঘরে করার চেষ্টা করেছে। মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে তাদের উপর একাধিক অর্থনৈতিক অবরোধও জারি করেছে আমেরিকা। আমেরিকার সঙ্গে পুরনো ‘বন্ধুত্ব’ বজায় রাখলেও, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি কোন অবস্থান নেয়নি ভারত। তবে পুতিন ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কিকে একাধিকবার যুদ্ধ বন্ধ করাবার আর্জি জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। যুদ্ধের আবহেই ২ বার রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সম্প্রতি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পাঠানো একটি বার্তায় প্রেসিডেন্ট পুতিন লিখেছিলেন, ‘রাশিয়া-ভারতের সম্পর্ক একটি বিশেষ, সুবিধাজনক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। আমি নিশ্চিত যে, আমরা যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সব ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা করব। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজেদের পারস্পরিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করব।’


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!