- প্রচ্ছদ রচনা
- ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২
চিন-পাকিস্তান নিয়ে রাহুলের মন্তব্যে আপত্তি আমেরিকার।

মোদি সরকারের বিদেশনীতির সমালোচনায় রাহুলের মন্তব্য ঘিরে আপত্তি জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । আমেরিকার স্বরাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র জানিয়ে দিলেন, চিন এবং পাকিস্তান সম্পর্কে রাহুলের বক্তব্য, সমর্থনযোগ্য নয়।’
গতকাল সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে জবাবি ভাষণে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ভারতের জনগণের প্রতি বিজেপির করা সবচেয়ে অন্যায় — তাঁরা চিন আর পাকিস্তানকে একসারিতে বসিয়ে দিয়েছে। ভারতের উচিত ছিল চিন আর পাকিস্তানকে আলাদা ভাবে দেখা । কিন্তু এই সরকার ভারতের দুই শত্রুর মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করছে । রাহুলের অভিযোগ, চিনের পরিষ্কার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। আর সেটা ওরা ডোকলাম এবং গালওয়ানে দেখিয়ে দিয়েছে।চিন এবং পাকিস্তান নিয়ে রাহুলের এই মন্তব্যকে আমেরিকা সমর্থন করছে না । মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলছেন, আমি এ বিষয়টি পাকিস্তান এবং চিনের উপরই ছেড়ে দিতে চাই। ওদের সম্পর্ক নিয়ে ওরাই কথা বলুক। তবে, এই ধরনের কোনও মন্তব্য আমরা সমর্থন করি না।
রাহুলের এই মন্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে । বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর রাহুলের অভিযোগ খণ্ডন করে দাবি করেছেন, পাকিস্তান এবং চিনের সুসম্পর্ক নতুন কিছু নয় । রাহুল গান্ধীর ধারণা চিন এবং পাকিস্তানের নৈকট্যের জন্য দায়ী বর্তমান সরকার। ওঁর জানা উচিত, পাকিস্তান এবং চিনের মধ্যেকার সুসম্পর্কের ফুল ফোঁটা শুরু হয়েছিল সেই ছয়ের দশক থেকে।
রাহুল গান্ধীকে ‘স্ক্রিপ্ট রিডার’, ‘ড্রয়িং রুম পলিটিশিয়ান’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সংসদ নিশিকান্ত দুবে। বলেছেন, জনগণকে ব্যাপক উস্কানি দেওয়ার জন্য রাহুলের বিরুদ্ধে তিনি স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনবেন ।
‘আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে গঠন করার জন্য আন্তরিকভাবে সংকল্প করেছি। আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘প্রজাতন্ত্র’ শব্দটি রয়েছে, যা ইতিমধ্যেই সকলের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারত সর্বোপরি একটি ‘জাতি’। কিন্তু, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই সহজ সত্যটি একজন প্রবীণ সংসদ সদস্য, অর্থাৎ শ্রী রাহুল গান্ধী বুঝতে পারেননি।’
❤ Support Us