Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪

লোভসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে জনমোহিনী বাজেট মমতার। বাড়ল মহার্ঘ্য ভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
লোভসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে জনমোহিনী বাজেট মমতার। বাড়ল মহার্ঘ্য ভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা

সামনে লোকসভা ভোট। তার আগেই রাজ্য বাজেটে বড় চমক মমতা ব্যানার্জির। ভোটের কথা মাথায় রেখেই জনমোহিনী বাজেটের দিকেই ঝুঁকলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের মুখে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল সরকার। পাশাপাশি মহিলা ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকাও বাড়ানো হয়েছে।

এদিন বিধানসভায় বাজেট পেশের সময় বিজেপি–র বিধায়করা তুমুল বিক্ষোভ দেখান। বিরোধী বিধায়কদের বিক্ষোভে মুখ্যমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা বারবার থমকে যায়। বিরক্ত হয়ে মমতা ব্যানার্জি বিরোধীদের বাজেট বক্তৃতা শেষ করতে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি বিজেপি বিধায়কদের লক্ষ্য করে বলেন, ‘‌এটা বিধানসভা ভবন, বিজেপির পার্টি অফিস নয়। লোকসভায় বাজেট পেশের সময় বিরোধীরা এই ধরনের আচরণ করে না। তাহলে কেন বিধানসভায় এইরকম আচরণ করা হচ্ছে?‌’‌ তাতেও বিরোধী বিধায়করা শান্ত হননি। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‌আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, শান্তিপূর্ণভাবে বাজেট পেশ করতে দিন।’‌

মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের পর কিছুটা শান্ত হন বিরোধী বিধায়করা। তারপর িনর্বিঘ্নেই বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ৪ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা বাড়ানো হয়েছে। আগামী মে মাস থেকে এই নতুন মহার্ঘ্য ভাতা কার্যকর হবে। ৪ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা বাড়ানোতে খুশি নন সরকারি কর্মচারিরা। তাঁরা ৩৪ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দাবি করেছেন।

রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ করা হয়েছে। এই খাতে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০২৪ সালের মে মাস থেকেই মহিলারা বর্ধিত টাকা পাবেন। আদিবাসী জনজাতিদের ভাতা বাড়িতে ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করা হয়েছে। মিড ডে মিল রাঁধুনিদের বেতন ১০০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়ার, গ্রিন পুলিশদেরও ভাতা ১০০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পে ও খাতে অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। মাদ্রাসাগুলির উন্নয়নে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য আগামী অর্থবর্ষে ৫৫৩০.৬৫কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা বিভাগে আগামী অর্থবর্ষের জন্য ৬,৪০২.১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগে জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৮,২৪১.৬৬ কোটি টাকা। শিল্প, বাণিজ্য ও শিল্পোদ্যোগ বিভাগে আগামী অর্থবর্ষের জন্য ১,৪৬৩.৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ রাজ্যের তিন জেলার নথিভুক্ত মৎস্যজীবীদের তিন মাস ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য বাজেটে। কৃষি বিভাগে আগামী অর্থবর্ষের জন্য ৯,৮৫৭.০১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৯,৮৫৮.১৭ কোটি টাকা। বিপর্যয় মোকাবিলা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য ২২৬৩.১৩ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের বাইরে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা তুলে দিতে অতিরিক্ত ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। এছাড়া ১০০ দিনের শ্রমিকদের বকেয়া মেটাতে রাজ্য বাজেটে ৩৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না, তাই সরকার ৫০ দিনের কাজের প্রকল্প শুরু করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য বাজেটে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!