- এই মুহূর্তে দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
হিমাচলে সঙ্কটে কংগ্রেস সরকার, পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে হাইকমান্ড
রাজ্যসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর সঙ্কটে হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকার। সরকার চালানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা কগ্রেসের কাছে এই মুহূর্তে নেই। রাজ্যসভা ভোটের ফলাফলেই তা পরিষ্কার। তবে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন না। কেউ তাঁকে ইস্তফা দিতে বলেননি। তাঁর দাবি, দল ভাঙতে বিজেপি গুজব ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ক্রস–ভোটিং বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দার সুখু বলেন, ‘কেউ আমাকে পদত্যাগের জন্য অনুরোধ করেনি বা আমি কারও কাছে পদত্যাগ করার ইচ্ছের কথাও বলিনি। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব এবং জিতব। দল ভাঙাতে বিজেপি গুজব ছড়াচ্ছে।’ পরিস্থিতি সামাল দিতে কংগ্রেস তিন পর্যবেক্ষক, কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার এবং হরিয়ানা ও ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুপিন্দর সিং হুডা এবং ভূপেশ বাঘেলকে হিমাচলপ্রদেশে পাঠিয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে শান্ত করতে সুখবিন্দার সিং সুখুকে সরিয়ে প্রয়াত ৬ বারের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিংকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চায়। দলের অন্দরে ‘সুখু বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভা সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে চায় কংগ্রেস হাইকমান্ড। তাঁর পিতার প্রতি অসম্মান করা হয়েছে, এই দাবি করে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন বিক্রমাদিত্য সিং।
হিমাচল বিধানসভায় ৬৮ আসনের মধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক ৪০ জন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ৩৫। রাজ্যসভার নির্বাচনে ৬ বিধায়কের ক্রস–ভোটিংয়ের জন্য কংগ্রেস ৩৪–এ নেমে গেছে। বিজেপি–র বিধায়ক ছিলেন ২৫ জন। এখন ক্রস–ভোটিংয়ের জন্য এখন হয়েছে ৩৪। আর এই ক্রস–ভোটিংয়ের জন্য হিমাচলে একটি মাত্র রাজ্যসভা আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজন। তিনি হারিয়েছেন কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে। দু’পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পায়। লটারিতে জয়ী হন হর্ষ মহাজন।
❤ Support Us