Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মার্চ ২৭, ২০২৫

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়াতে নিরাপত্তাবাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ অব্যাহত

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়াতে নিরাপত্তাবাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ অব্যাহত

চার দিন ধরে চলা তল্লাশির পর, বৃহস্পতিবার জম্মু -কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে ফের গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। রবিবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনী একদল জঙ্গির বিরুদ্ধে বড়ো ধরনের অভিযান শুরু করেছিল। জানা গেছে, এই জঙ্গিরা সীমান্তের ওপার থেকে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করেছে। কর্মকর্তাদের মতে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান শুরু করা হয়েছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে সানিয়াল গ্রামের একটি নার্সারির মধ্যে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার নীরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘কাঠুয়ার রাজবাগ থানা এলাকায়, সুফাইন-এর জঙ্গলে জঙ্গিদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ভোরবেলা নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে, এখনো সেখানে গুলির লড়াই চলছে। শুরুর দিকে হিরানগররের সানিয়াল গ্রামে তল্লাশি শুরু করা হয়েছিল, পরে আরো বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে তলাশি চালানো হয়। রবিবারের পর জঙ্গীদের তরফে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি। এ এদিন আবার নতুন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

সেনা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এক স্থানীয় মহিলা পুলিশকে জানান, ২ জন সেনা পোশাক পরিহিত ব্যক্তি তাঁর কাছে জল চান। ওই ব্যক্তিরা সেখানে বসেই খাবার খাচ্ছিল। খবর পেয়ে সানিয়ালের ওই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। সাম্বা-কাঠুয়া প্রদেশের জম্মু-পাঠানকোট জাতীয় সড়ক আর সীমান্তবর্তী রাস্তাগুলিতে নিরাপত্তা আরো কঠোর করা হয়েছে। সানিয়াল থেকে ডিং অ্যাম্ব পর্যন্ত ও তার বাইরে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযান সেনা, এনএসজি, বিএসএফ, পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং সিআরপিএফ যৌথভাবে চালাচ্ছে। জঙ্গিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি, নজরদারি সরঞ্জাম, হেলিকপ্টার, উন্নত ড্রোন, বুলেটপ্রুফ গাড়ি আর স্নিফার ডগ ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, ৩ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবারের তল্লাশি অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনী ২টি গ্রেনেড উদ্ধার করে। সানিয়ালের জঙ্গলে পাওয়া গোপন আস্তানায় বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, স্লিপিং ব্যাগ এবং খাবারের প্যাকেট আর কিছু জামাকাপড় পাওয়া গেছে। যা গত বছর জুন-আগস্ট মাসে দোদা ও আসার জঙ্গলে নিহত ৪ জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গির পোশাকের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অভিযানে সহযোগিতা করছেন। অন্যান্য এলাকার মানুষকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সন্দেহজনক কোনো কিছু দেখলে তৎক্ষণাত নিরাপত্তাবাহিনীকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাঠুয়া জেলা, ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন। অতীতে এই অঞ্চলে একাধিকবার জঙ্গিরা সীমান্ত পার করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। সম্প্রতি কাঠুয়ার বানী এলাকায় ৩জন নাগরিক বিয়ে থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। ৮ মার্চ, ব্যাপক তল্লাশির পর তাদের মৃতদেহ একটি জলপ্রপাতের পাশে পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক ও উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই ঘটনার পর, ৯ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন জম্মু-কাশ্মীর সফর করেন । উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক করে, আসন্ন অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিগত কয়েক বছরে কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান তীব্র হওয়ায় কারণে জঙ্গিরা পীরপাঞ্জাল পাহাড়ে আত্মগোপন করেছে। সেখানে লুকিয়ে থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর জন্য তাঁরা সুযোগ খুঁজে চলেছে।


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!