- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
“নির্দোষ কাউকে বলি দেবেন না”, রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি রাজীব কুমারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ
রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি পদে এলেন রাজীব কুমার। এদিকে রাজীব কুমারের রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল মুখপাত্র ও দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রাজীব কুমারকে নতুন পদপ্রাপ্তির পর শুভেচ্ছা জানানোর মাধ্যমে রীতিমতো খোঁচা দিলেন কুণাল। কুণাল ঘোষ বলেছেন, “আপনি দক্ষ আধিকারিক। ভালোভাবে কাজ করুন। দেখবেন আবার কারও নির্দেশে আমার মতো নির্দোষকে বলি দিয়ে দেবেন না।”
তৃণমূল মুখপাত্র রাজীব কুমারের দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন না তুলেই যা বলেছে তা রীতিমতো বিস্ফোরক। কুণাল বলেছেন, “রাজীব কুমার দক্ষ পুলিশকর্তা। মাঝখানে কিছু ঝড়ঝঞ্ঝা এসেছিল। আমার সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমিও সৌজন্য বিনিময় করি, উনিও সৌজন্য বিনিময় করেন। উনি ডিজির পদে এসেছেন। খুব ভালো খবর। ভালো করে কাজ করুন। শুধু দেখবেন আমার মতো কোনও নির্দোষকে যেন কার না কার নির্দেশে বলি দিতে যাবেন না। তাহলে কিন্তু তার পরের দিনগুলো ভগবান ভালো দেন না।”
কুণাল ঘোষের জেলযাত্রার জন্য রাজীব কুমারকে দায়ী করে আগেও তীর ছুড়েছেন এই কুণাল ঘোষ, তখন তিনি তৃণমূল মুখপাত্র হননি। রাজীব কুমার এবং কুণাল ঘোষের সম্পর্কের সমীকরণ কোনওদিনই মসৃণ ছিল না। রাজীব কুমারকে বরাবরই শত্রু হিসাবেই দেখে এসেছেন কুণাল ঘোষ। সারদা মামলা চলাকালীন কুণালকে দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয়েছিল। এমনকী জেলে তাঁকে অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন কুণাল। আর তিনি মনে করেন এ সবের নেপথ্যে ছিলেন কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। প্রশাসনের শীর্ষ কোনও ব্যক্তিত্বের অঙ্গুলিহেলনেই রাজীব কুমার তাঁর উপর নির্যাতন করাতেন বলে মনে করেন কুণাল ঘোষ।
আবার সারদা মামলায় রাজীব কুমার যখন সিবিআই স্ক্যানারে তখনও তাঁর বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ স্বয়ং। সেবারে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, রাজীব কুমার সময়মতো সক্রিয় হননি। তাঁর কথা শোনেননি। সেকারণেই সারদা মামলার জল এতদুর গড়িয়েছে। ২০২১ সালের পর রাজীব কুমার রাজ্য প্রশাসনের মূল স্রোত থেকে সরে গিয়েছিলেন। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের প্রধান সচিবের পদ সামলাচ্ছিলেন। এবার তাঁর প্রত্যাবর্তন হল আবার পুলিশে। তাঁকে সরাসরি রাজ্য পুলিশের ডিজি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীবের এই পদোন্নতির দিন ফের কুণাল ঘোষ সরব হলেন।
কুণাল ঘোষের দলীয় সত্তা ও রাজনৈতিক সত্তা আদালা ধরলে তিনি যা বলছেন তার যৌক্তিকতা আছে বলা যায়। তবে কুণাল ঘোষ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সাধারণ সম্পাদক, মুখপাত্র। তাই তিনি যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিযুক্ত রাজ্য পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তখন সেটা জনতার মধ্যে তৃণমূলের ভাবমূর্তিকেই ক্ষুন্ন করে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। এখন দেখার রাজীব কুমারকে নিশানা করে কুণালের এই শ্লেষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে পড়ার পর তাঁরা কী সিদ্ধান্ত নেন।
❤ Support Us