Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মে ৩, ২০২৫

প্রকাশিত হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিলের ফলাফল। ছাত্রদের টেক্কা দিয়ে ছাত্রীদের জয়জয়কার, মেধাতালিকায় মালদার দাপট

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
প্রকাশিত হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিলের ফলাফল। ছাত্রদের টেক্কা দিয়ে ছাত্রীদের জয়জয়কার, মেধাতালিকায় মালদার দাপট

হাই-মাদ্রাসার মেধা তালিকায় এক থেকে দশম স্থানে রয়েছে ১৫ জন। যার মধ্যে ১২ জনই ছাত্রী। মেধাতালিকায় মালদার জয়জয়কার। জেলার বিচারে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, পাশের হার ৯৭.৫৪ শতাংশ। আলিম ও ফাজিল-এ পাশের হার যথাক্রমে–৯২.৮১ শতাংশ ও ৯৩.১৫ শতাংশ।

পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের অধীন হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হল শনিবার। সল্টলেকের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন পর্ষদ সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন। চলতি বছরে, পরীক্ষার ৪০ কর্মদিবসের মধ্যেই ফল প্রকাশ। যা এক ঐতিহাসিক নজির। চলতি বছর হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল– এই তিন বিভাগ মিলিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল মোট ৬০,৩৭৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৪,৩৫৩ এবং ছাত্রী ৩৬,০২১ জন। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত, মোট ২০৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু তিন ভাষাতেই প্রশ্নপত্র ছিল।

হাই মাদ্রাসা পরীক্ষার মেধাতালিকার শীর্ষ দশে রয়েছেন ১৫ জন, যার মধ্যে ১২ জনই ছাত্রী। প্রথম স্থানে যুগ্মভাবে রয়েছেন মালদা জেলার দুই ছাত্রী, ভগবানপুর হাই মাদ্রাসার ফাহমিদা ইয়াসমিন আর বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার সাহিদা পারভিন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৭৮০। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সামশুন নেহা (৭৭৬), তৃতীয় স্থানে আলিফনুর খাতুন (৭৭২)। ৩ জনই মালদহ জেলার বাসিন্দা। জেলার বিচারে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, পাশের হার ৯৭.৫৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আলিপুরদুয়ার (৯৫.৬৩ শতাংশ), তৃতীয় উত্তর ২৪ পরগনা (৯৫.২১ শতাংশ)। রাজ্য জুড়ে হাই মাদ্রাসার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪৪,০৭৩ জন, যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৯,৮০৬ জন। পাশের হার ৯০.৩২ শতাংশ।

আলিম বিভাগে এ বছর মোট ১১,৫৮৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬,৩০২ জন আর ছাত্রী ৫,২৮৬ জন। মোট উত্তীর্ণ ১০,৭৫৫ জন। পাশের হার ৯২.৮১ শতাংশ। এই বিভাগে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই ছাত্র। প্রথম হয়েছেন মহম্মদ সৈয়দ আলম মণ্ডল (৮৭৩ নম্বর)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মাসুম বিল্লা গাজ়ি (৮৭০ নম্বর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মহম্মদ ওমার ফারুক মণ্ডল (৮৫৩ নম্বর। ফাজিল বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪,৭১৩ জন। ছাত্র ২,৬৩১ ও ছাত্রী ২,০৮২। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪,৩৯০ জন। পাশের হার ৯৩.১৫ শতাংশ। মেধাতালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন ১২ জন, যার মধ্যে ৯ জন ছাত্র এবং ৩ জন ছাত্রী। ফাজিলে প্রথম হয়েছেন ইয়ামিন শেখ, যার প্রাপ্ত নম্বর ৫৬২। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রাইহান হোসেন এবং বাকিবিল্লা গায়েন (উভয়ের নম্বর ৫৫৯)। তৃতীয় হয়েছেন আব্দুল হালিম (৫৫৮ নম্বর)।

ফলপ্রকাশের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল পরীক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি লিখেছেন, ‘হাইমাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই! আমি আশা করি তোমরা ভবিষ্যতে আরও সাফল্য পাবে। তোমাদের জীবনের এই বিশেষ দিনটিতে, আমি তোমাদের বাবা-মা, তোমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক-সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁদের সহায়তাই তোমাদের সাফল্যের চাবিকাঠি। আর যারা আজকে ভাল ফল করতে পারোনি, তাদের আমি বলব, মন খারাপ করো না। চেষ্টা চালিয়ে যাও। সামনের দিনে তোমরাও অবশ্যই সফল হবে। তোমাদের সবাইকে আবারও আমার অনেক আশীর্বাদ আর শুভকামনা জানাই। তোমরা সবাই ভালো থেকো।’

উল্লেখ্য, মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ এ বছর থেকে তৎকাল পিপিএস বা স্ক্রুটিনি আর পিপিআর বা রিভিউ প্রক্রিয়া চালু করেছে। ৩ মে থেকে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে পরীক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ১৫ দিনের মধ্যেই। এই উদ্যোগ পরীক্ষার্থীদের স্বচ্ছতা আর সময়োচিত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য, বিশেষভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।


  • Tags:
❤ Support Us
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৭ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
সে এমন ঝুঁকি নেবে কেন ? গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
কে বলে সন্ত্রাসীদের ধর্ম নেই ? খাস-কলম দে । শ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ
error: Content is protected !!